তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় নিয়েই অন্য লড়াই!

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। ট্রান্সজেন্ডার। ছোটবেলা থেকেই জুটেছে হাজারো বঞ্চনা। অপমান। তবু হার মানেনি কেউই। চোয়াল শক্ত করে যুদ্ধ করে আজ দুজনেই নিজেদের পরিচয় তৈরি করেছেন। দেবদত্তা,আর দিয়া।  কর্মজীবনে  দুজনকেই দেখা যাবে  নার্সের ভূমিকায়।

Updated By: Mar 20, 2018, 09:01 PM IST
তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় নিয়েই অন্য লড়াই!

কমলিকা সেনগুপ্ত:  এক অন্য জীবন। অন্য লড়াই।যে জীবনের প্রতি পদে পদে অবহেলা,লাঞ্ছনা, গঞ্জনা। তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় নিয়েই লড়াই শুরু করেছিলেন দেবদত্তা আর দিয়া। চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজ দুজনেই প্রতিষ্ঠিত। শহরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজে যোগ দিলেন দুই মানবী।

আরও পড়ুন: খাটে স্ত্রীর দেহ, মাথার পাশে স্বামীর গলার নলি কাটা শরীর

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। ট্রান্সজেন্ডার। ছোটবেলা থেকেই জুটেছে হাজারো বঞ্চনা। অপমান। তবু হার মানেনি কেউই। চোয়াল শক্ত করে যুদ্ধ করে আজ দুজনেই নিজেদের পরিচয় তৈরি করেছেন। দেবদত্তা,আর দিয়া।  কর্মজীবনে  দুজনকেই দেখা যাবে  নার্সের ভূমিকায়।

আরও পড়ুন: বিধায়ক দীপালি ঘোষের আত্মীয়ের দোকানের সামনে চিপসের প্যাকেট, ভিতরে মজুত অস্ত্র

শহরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু করলেন দুজন। একজনের বাড়ি মালদায়। অন্যজনের বাড়ি বাটানগরে। দুজনেরই ২৪ এ পা। ব়ঞ্চনার জীবন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের পায়ে দাঁড়নোর লড়াই। আত্ম সম্মানের সঙ্গে বাঁচার লড়াই।

 

বাংলায় স্নাতোকত্তর নিয়ে পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে টিউশন শুরু করেছিল দেবদত্তা। সেপথেও হাজার যন্ত্রণা। মানুষ হিসাবে বাঁচার সম্মানটুকুও জোটেনি। টিটকিরির ভয়ে টিউশন বন্ধ করে দেয় দেবদত্তা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সম্মান জানিয়েছেন  দুই মানবীর লড়াইকে।

সমাজের সর্বস্তরেই হাজারো গঞ্জনা সয়েই পথ চলতে হয় ট্রান্সজেন্ডারদের। সেই লড়াইয়ে নতুন পথ চলার দিশা দেখাল দেবদত্তা আর দিয়া।

.