ছাত্র সংসদ দখল ঘিরে রণক্ষেত্র চারুচন্দ্র কলেজ
ছাত্র সংসদ দখল ঘিরে রণক্ষেত্র চারুচন্দ্র কলেজ। কলেজে ভাঙচুর। দুপক্ষের ধস্তাধস্তি। অভিযোগ তৃণমূলেরই দুই মন্ত্রীর কাজিয়া পৌছে গিয়েছে কলেজের অভ্যন্তরে। বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে বিদ্যুত্মন্ত্রীর ছেলের উপস্থিতি। হামলায় জখম ১৪জন পড়ুয়া। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতাদের।
ওয়েব ডেস্ক: ছাত্র সংসদ দখল ঘিরে রণক্ষেত্র চারুচন্দ্র কলেজ। কলেজে ভাঙচুর। দুপক্ষের ধস্তাধস্তি। অভিযোগ তৃণমূলেরই দুই মন্ত্রীর কাজিয়া পৌছে গিয়েছে কলেজের অভ্যন্তরে। বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে বিদ্যুত্মন্ত্রীর ছেলের উপস্থিতি। হামলায় জখম ১৪জন পড়ুয়া। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতাদের।
সোমবার দুপুর দুটো। দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা তখন সবে মাত্র শুরু হয়েছে। আচমকাই ভাঙচুর শুরু হয় কলেজে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। হামলাকারীদের ছোঁড়া টবে বেশ কয়েকজন জখম হন। এরপর তাঁরা ইউনিয়ন রুমে চড়াও হন। ইউনিয়ন রুমে আরেক প্রস্ত ভাঙচুর চলে। অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার দুই মন্ত্রীর কাজিয়ায় ঢুকে পড়েছে চারুচন্দ্র কলেজে।
চারুচন্দ্র কলেজে পড়েন না বিদ্যুত্মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সায়নদেব। তবু হামলার আগে তাঁকে দেখা যায় কলেজে। কলেজের ছাত্রদের একাংশের দাবি, হামলার নেতৃত্ব দেন সায়নদেবই। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বাবা বিদ্যুত্মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার বিকেলেই চারুচন্দ্র কলেজে যান তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী জয়া দত্ত। তাঁর বক্তব্য, যা করার প্রশাসন করবে। যদিও অধ্যক্ষ এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে দুদল ছাত্রের মধ্যে গণ্ডগোল।
বারবার শিক্ষাক্ষেত্রে অশান্তি রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কড়া দাওয়াইয়েও যে কাজ হয়নি, চারুচন্দ্র কলেজের ঘটনা আরও একবার তা প্রমাণ করল। বিতর্কটা আরও উস্কে দিল বিদ্যুত্মন্ত্রীর ছেলের উপস্থিতি। (আরও পড়ুন- বিমান বসুর প্রশংসা কুণাল ঘোষের মুখে)