বিক্রম থেকে অভিষেক, বড় ধাক্কা মাও নেতৃত্বে
বিক্রমের পর এবার অভিষেক। এ রাজ্যের মাওবাদী আন্দোলনের শীর্ষস্তরে মেধাবী উপস্থিতি বলতে গেলে এই দুজনের নামই প্রথমে উঠে আসে। চলতি বছরের গোড়ার দিকেই পুরুলিয়ায় ধরা পড়েন বিক্রম। এবার অভিষেক ধরা পড়লেন কলকাতা পুলিসের এসটিএফের হাতে।
বিক্রমের পর এবার অভিষেক। এ রাজ্যের মাওবাদী আন্দোলনের শীর্ষস্তরে মেধাবী উপস্থিতি বলতে গেলে এই দুজনের নামই প্রথমে উঠে আসে। চলতি বছরের গোড়ার দিকেই পুরুলিয়ায় ধরা পড়েন বিক্রম। এবার অভিষেক ধরা পড়লেন কলকাতা পুলিসের এসটিএফের হাতে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়েই অতিবামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন অভিষেক। সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানার প্রতিবাদে ভাঙচুর চালিয়ে একবার গ্রেফতারও হন। তারপর ২০০৮ সাল থেকেই পুরোদস্তুর মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন অভিষেক। মাওবাদীদের কলকাতা সিটি কমিটির সদস্য এবং পরে সম্পাদক হওয়া অভিষেকের আত্মগোপনের সেই শুরু। তারপর রাজ্য কমিটিরও সদস্য হয়েছিলেন। লালগড় আন্দোলনেও বিশেষ ভূমিকা ছিল অভিষেকের। ছিলেন কিষেণজির অত্যন্ত ঘনিষ্ট। ১৩টি ভাষা জানা অভিষেক মেধা এবং দক্ষতার কারণে খুব দ্রুত শীর্ষস্তরে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। তার আগে বেশকিছুদিন ছত্তিশগড়ের দন্ডকারণ্যে মাওবাদীদের প্রশিক্ষণ শিবিরেও অংশ নিয়েছিলেন অভিষেক। সাম্প্রতিক পুলিসি অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়া মাওবাদীরা কিছু নয়া কৌশল নিয়েছেন। তারই অঙ্গ হিসাবে মাওবাদীদের সেন্ট্রাল টেকনিক্যাল কমিটির কাজে লাগানো হয়েছিল অভিষেককে। অস্ত্র এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
অভিষেককে ধরতে পারাটা রাজ্য সরকারের বড়সড় সাফল্য হওয়ার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির ঘটনাও। পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ায় আগে একবার ভাড়াবাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাঁর বাবা-মাকে। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় একবার দেখতেও চান ছেলেকে। বিক্রমের পর এবার অভিষেকের পুলিসের জালে ধরা পড়া মাওবাদীদের কাছে বড় ধাক্কা।