ওয়ার্মারে পুড়ে মৃত দুই সদ্যোজাত, প্রশ্নের মুখে মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সা ব্যবস্থা
সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্মারে পুড়ে মৃত্যু হল দুই শিশুর। কারণ ওয়ার্মারের উত্তাপ যে বাড়ছে তা দেখার কেউ ছিল না। বুঝতে পেরেছিলেন দুই মা। বার বার ছুটে গিয়েছিলেন নার্স ও চিকিত্সকদের কাছে। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। হৃদয়হীন স্বাস্থ্য পরিষেবার এই ছবি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। প্রথম সন্তান। অনেক যত্নে, আদরে কোলে তুলে নিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার সোনম-অষ্টম বাগদি। স্বপ্নেও ভাবেননি এমনটা ঘটবে।
ওয়েব ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্মারে পুড়ে মৃত্যু হল দুই শিশুর। কারণ ওয়ার্মারের উত্তাপ যে বাড়ছে তা দেখার কেউ ছিল না। বুঝতে পেরেছিলেন দুই মা। বার বার ছুটে গিয়েছিলেন নার্স ও চিকিত্সকদের কাছে। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। হৃদয়হীন স্বাস্থ্য পরিষেবার এই ছবি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। প্রথম সন্তান। অনেক যত্নে, আদরে কোলে তুলে নিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার সোনম-অষ্টম বাগদি। স্বপ্নেও ভাবেননি এমনটা ঘটবে।
সতেরো তারিখ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন সোনম বাগদি। জন্ডিস ধরা পড়ায় শিশুটিকে ওয়ার্মারে রাখা হয়। কিন্তু, ওয়ার্মারের তাপমাত্রা নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল সোনমের। বার বার সেকথা বলেওছিলেন। পাত্তাই দেননি চিকিত্সক, নার্সরা। রাতভর পুড়তে থাকে খুদে প্রাণ। সকালে হাতের তালু কালো হতে শুরু করে। বার বার ডাক্তারবাবুদের কাছে ছুটে যান সোনম। কিন্তু, টনক নড়েনি। সোনমের বাড়ির লোকেরাই তড়িঘড়ি শিশুটিকে ICU তে নিয়ে যায়। কিন্তু, সেখানেও গাফিলতির চেহারাটা বদলায়নি।
চিকিত্সকদের হুঁশ যখন ফেরে তখন সবশেষ। অসহ্য তাপমাত্রার সঙ্গে অসম লড়াইয়ে হার মেনেছে ছোট্ট প্রাণ।
ডাক্তারবাবুদের চরম গাফিলতিতে প্রথম সন্তানকে হারিয়েছেন তালতলার আফরিন খাতুনও। জন্ডিসের কারণের তাঁর বাবুকেও রাখা হয়েছিল ওয়ার্মারে। ওয়ার্মারের তাপমাত্রা নিয়ে আপত্তি করেছিলেন আফরিনও। আমলই দেননি ডাক্তারবাবুরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অষ্টম বাগদি। তদন্তও হয়ত শুরু হবে। কিন্তু, সোনম-আফরিনের সন্তান হারানোর দায় কার? প্রাণ বাঁচাতে পরম ভরসায় সন্তানকে যে ডাক্তারবাবু -নার্সদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাঁরাই ঘাতকের ভূমিকায়। কার কাছে যাবেন সোনম-আফরিনরা?