শহরের দুই সরোবরের জল দূষণ রোধে দুই চিত্র

ওয়েব ডেস্ক: এ যেন সেই সুয়োরানি-দুয়োরানির গল্প। ছট পুজোর আগে শহরের দুই সরোবরের জল দূষণ রোধে দুই চিত্র। দক্ষিণের ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরে যখন পরিবেশ আদালতের নির্দেশ পালনে জোর তোড়জোড়, তখনই উত্তরের সুভাষ সরোবর যেন অনেকটাই উপেক্ষিত।

রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষার জন্য নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু কী সেই নির্দেশ?

জলাশয় চত্বরে জল থেকে তিন ফুট দূরত্বে বাঁশ বা জাল দিয়ে ব্যারিকেড করে দিতে হবে। সেই ঘেরা জায়গায় পুজোর সামগ্রী ফেলতে হবে। তার বাইরে নয়।

জলে নেমে পুজো করা যাবে না। জলে যে ফুল-পাতা-আবর্জনা পড়বে, দশমীর মতই তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে।

সরোবরে প্রচুর গাছপালা রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পাখি বাস করে। তাই ছট পুজো উপলক্ষে উচ্চস্বরে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।

পরিবেশ দূষণ রুখতে বাজি ফাটানোতেই জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

এছাড়া বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি রুখতে, বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা রাখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ছট পুজো উপলক্ষে রবিবার দুপুরে সুভাষ সরোবরে গিয়ে দেখা গেল, জলের তিন ফুট দূরত্বে নেই কোনও ফেন্সিং। জলাশয়ে দিব্যি ভাসছে ফুল, বেলপাতা সহ পুজোর সামগ্রী। তারস্বরে বাজছে  মাইক। অর্থাত্‍ নিয়ম মানার কোনও বালাই নেই।

রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর। দুই সরোবরের মালিকানাই কেআইটির হাতে। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে জাতীয় সরোবরের তকমা পেয়েছে রবীন্দ্র সরোবর। অথচ সুভাষ সরোবর যেন কিছুটা উপেক্ষিতই। অনেকেই অভিযোগ করছেন যে দক্ষিণ কলকাতার মত অভিযাত এলাকা বলেই রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে বাড়তি বাড়াবাড়ি রাজ্য সরকারের। আগামী দিনে সুভাষ সরোবর নিয়ে সরব হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা।

পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, সুভাষ সরোবরে তত মানুষ যান না, যত মানুষ যান রবীন্দ্র সরোবরে। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পরিষ্কার করা হবে সুভাষ সরোবর। ছট পুজো নিয়ে সুভাষ সরোবরের জলদূষণ রোধে মন্ত্রীর এই আশ্বাস কতটা কার্যকরি হয়, তা হয়ত সময়ই বলবে।