WB Assembly Election 2021: 'বাংলার ভোটে উত্তরপ্রদেশের পুলিস মোতায়েন বন্ধ হোক', কমিশনে চিঠি TMC-র

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি ডেরেক ও'ব্রায়েনের।

Reported By: সুতপা সেন | Updated By: Mar 24, 2021, 06:00 PM IST
WB Assembly Election 2021: 'বাংলার ভোটে উত্তরপ্রদেশের পুলিস মোতায়েন বন্ধ হোক', কমিশনে চিঠি TMC-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বাংলার ভোটে উত্তরপ্রদেশের পুলিস মোতায়েন বন্ধ হোক'। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি এমনই দাবি জানাল তৃণমূল (TMC)। কমিশনের কাছে রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, ভোটের মুখে প্রার্থীদের হেনস্থা করছে সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)। 

একুশের ভোটে (WB Assembly Election 2021) আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে আপস করতে রাজি নয় কমিশন। গতকাল উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলার জেলাশাসক (DM), পুলিস সুপার (SP) ও পুলিস কমিশনারদের (CP) সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন ফুলবেঞ্চের সদস্যরা। আর বাকিদের সঙ্গে বৈঠক হল ভার্চুয়ালি। সূত্রের খবর,  রাজ্যে যতগুলি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে, তার মধ্যে ৫০ শতাংশ বুথেই ওয়েব কাস্টিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, 'রাজ্যে ১ হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। প্রয়োজনে তার থেকেও বেশি পাঠাতে পারি'। শোনা যাচ্ছে, বাংলায় ভোট পরিচালনার জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০ কোম্পানি পুলিবাহিনী আনা হতে পারে। আর তাতেই আপত্তি তুলেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021: Mamata-কে ব্ল্যাকমেল করেছেন Anubrata, বিস্ফোরক Firhad

কেন? তৃণমূলের তরফে কমিশনকে লেখা চিঠিতে রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন জানিয়েছেন, 'আমরা অন্য কোনও অবিজেপি রাজ্য থেকে পুলিশ আনার বিরোধী নই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ থেকে পুলিশ আনা হলে আমাদের আপত্তি আছে। উত্তরপ্রদেশ যেহেতু বিজেপিশাসিত রাজ্য, তাই আমাদের ধারনা সেখান থেকে পুলিস এলে কমিশনে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। উত্তরপ্রদেশের পুলিস বিজেপির হয়ে কাজ করবে'। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ থেকে পুলিস এনে ভোটে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: ভোটগ্রহণের আগে ৫ জেলায় বাইক মিছিল নিষিদ্ধ করল Election Commission

এদিকে ভোটের মুখে চিটফাণ্ড কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee), মদন মিত্র (Madan Mitra)-সহ তৃণমূলের (TMC) একাধিক প্রার্থী তলব করেছে সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই নিয়ে কমিশনের নালিশ জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। অভিযোগ করা হয়েছে, 'দলের প্রার্থীরা যখন প্রচারে ব্যস্ত, তখন তাঁদের হেনস্তা করছে সিবিআই ও ইডি'। 

.