WB Panchayat Election 2023: ভোট শেষ হতেই প্রধান বিচারপতির কাছে নালিশ, জমা পড়ল একাধিক ইমেল
হাইকোর্ট চেয়েছিল যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট হয় এবং মানুষ তাঁর নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারে। সেতা সম্পূর্ণভাবে হয়নি। সেই কারণেই একাধিক আইনজীবী ইমেলে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে সোমবার তাঁরা অ্যাপ্লিকেশন করে জানাবেন তাঁরা কোথায় কোথায় কী দেখেছেন।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ভোট শেষ হতেই প্রধান বিচারপতির কাছে নালিশ। ইমেলে জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ। সব মেলে ভোট পর্ব নিয়ে একধাদিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ইমেলে দাবি করা হয়েছে বাহিনী মতায়েনে আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি, সিভিক ভলেন্টিয়ারের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি।
শনিবার নির্বাচন যখন চলছে সেই সময়ের মধ্যেই প্রধান বিচারপতির কাছে একাধিক অভিযোগ আসা শুরু হয়। আইনজীবীদের মারফত এই ইমেল আসা শুরু হয়। তাঁর ইমেলে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ সঠিকভাবে পালন হয়নি। বিশেষ করে কেন্দ্রীয়বাহিনী মতায়েনের ক্ষেত্রে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল প্রতি বুথে বাহিনী রাখতে হবে সেটাও মানা হয়নি। এছাড়াও অনেক বুথ ছিল যেখানে বাহিনী ছিল না। পাশাপাশি বিভিন্ন স্পর্শকাতর বুথেও বাহিনী ছিল না।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: কমিশনের গেটে তালা! আদালতে যাচ্ছে বিজেপি...
পাশপাশি রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার। হাওড়া সহ একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে যে সিভিক ভলান্টিয়ার বুথের মধ্যে ছিল। অর্থাৎ কীভাবে এই নিরদেশিকা অমান্য কর নির্বাচন কমিশন সেই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে দফায় দফায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে যাতে কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা রুজু করে যাতে এর ব্যবস্থা হয় কারণ এত মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: Governor CV Ananda Bose: 'লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করব না', বার্তা রাজ্যপালের
হাইকোর্ট চেয়েছিল যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট হয় এবং মানুষ তাঁর নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারে। সেতা সম্পূর্ণভাবে হয়নি। সেই কারণেই একাধিক আইনজীবী ইমেলে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে সোমবার তাঁরা অ্যাপ্লিকেশন করে জানাবেন তাঁরা কোথায় কোথায় কী দেখেছেন।
বিজেপি-র তরফে শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার আছে তা ভারতবর্ষে এবং পৃথিবীতে কোনওদিন আসেনি। এটাই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন। একটা অরকার যারা কোর্টের অর্ডারকে কমপ্লাই করে না। কমিশনার বলছেন কোথায় কে কাকে গুলি করবে সেটা আমার জানা নেই। এটা কমিশনের কাজ নয়। যখন কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হয়ে যায় তখন সমগ্র রাজ্যের পুলিসের দায়িত্ব বর্তায় কমিশনারর উপর’।
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের কাছে মৃত্যু সামান্যতম কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনা। যারা এতটাই অসংবেদনশীল তাদের কাছ থেকে মানবিক মুখ প্রত্যাশা করা যায়না’।