WB Panchayat Election 2023: 'রাজ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু; উনি বলছেন আমার কী দোষ! ভগবানের ভরসায় বেঁচে রয়েছি'

WB Panchayat Election 2023: ভাঙড়ের অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও ভাঙড়ে অশান্তি হয়েছে। বাহিনীর যিনি প্রমুখ, তিনি আগেই বলেছেন, তাঁর কাছে স্পর্শকাতর বুথের লিস্ট ছিল না। কোথাও যেতেও বলা হয়নি। ওনারা নিজে থেকে কিছু জায়গায় গেছেন। এদের অনীহা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীতে

Updated By: Jul 13, 2023, 09:31 AM IST
WB Panchayat Election 2023: 'রাজ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু; উনি বলছেন আমার কী দোষ! ভগবানের ভরসায় বেঁচে রয়েছি'

অয়ন ঘোষাল: পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাণহানি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশান করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এনিয়ে দিলীপবাবু বলেন, উনি সব দেখতে পান না, শুনতে পান না। যতটা দৃষ্টি বা বোঝার ক্ষমতা, ততটাই বলছেন। বাস্তব যেটা, যেটা মিডিয়া তুলে ধরছে। সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত অসমর্থিত ভাবে মৃত ৪৭, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১৯। উনি কাল বলেছেন, আমার কি দোষ? ৪৭ জন মরে যাওয়ার পরেও যদি দোষ দেখতে না পান, বা অনুভব করতে না পারেন তাঁর কী ত্রুটি, তাহলে তো আমরা ভগবান ভরসায় বেঁচে আছি। এমন লোককে দায়িত্ব দিয়েছি যার চোখ নেই, কান নেই, কিছু বুঝতেও পারেন না। নিজের দোষ ছাড়া আর সব দেখতে পান। এরকম লোকের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না।

আরও পড়ুন-'উইনিং সার্টিফিকেট দে', বাড়িতে ঢুকে বেধড়ক মার বিজেপির জয়ী মহিলা প্রার্থীকে 

ভোটে হিংসা নিয়ে অনেকেই কমিশনকে দুষছেন।  কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও তাদের বসিয়ে রাখা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এই কমিশনার যখন থেকে নিযুক্ত, তবে থেকেই বিতর্কে। আর নিয়মিত কোর্টের ধমক খেয়ে যাচ্ছেন। তার কোনও পরিবর্তন নেই। উনি ভোটের আগে এবং ভোটের পরেও একইরকম আছেন। কথা বললে উত্তর না দিয়ে নির্বাক হয়ে যান। বোঝাই যাচ্ছে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে তাকে কমিশনার করা হয়েছিল সেটাই উনি করতে বাধ্য হয়েছেন। ওনার কোনও রোল ছিল না। উনি রাবার স্ট্যাম্প হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। যারা পরিচালনা করছেন, তারাও বলছেন, আমাদের কোনও দোষ নেই। 

ভাঙড়ের অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও ভাঙড়ে অশান্তি হয়েছে। বাহিনীর যিনি প্রমুখ, তিনি আগেই বলেছেন, তাঁর কাছে স্পর্শকাতর বুথের লিস্ট ছিল না। কোথাও যেতেও বলা হয়নি। ওনারা নিজে থেকে কিছু জায়গায় গেছেন। এদের অনীহা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীতে। তাই সেখানে পাঞ্জাব পুলিস ছিল। পুলিসকে কেনা যায়, বেচা যায়। সেজন্যই হয়তো অন্য রাজ্য থেকে পুলিস এনে ওখানে বসানো হয়েছিল। তারা নির্বাক হয়ে ছিল। দর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল। ভাবুন একবার! ৬২ হাজার বুথে ভোট। তারমধ্যে শুধু রাজভবনেই অভিযোগ সাড়ে ৭ হাজার। এরকম হাজার হাজার অভিযোগ কমিশনের কাছে বা বিডিওর কাছেও এসেছে। সুরাহা হয়নি। অভিযোগ স্বীকার করাও হয়নি। গণনার দিন বিডিওরা ফোন নামিয়ে রেখেছেন। ধরেন নি। বলেছেন ডিস্টার্ব করবেন না। ডিএম এর কাছে অভিযোগ এলে তারা বলেছে আমরা বিডিওকে বলে দিয়েছি। যা করার ওরা করবে।  রি কাউন্টিং দেয়নি। আর ৮৫ ভোটে আমরা জিতেছি, সেখানে রি কাউন্টিং করে আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। 

মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ ও হোমগার্ড এর চাকরি

এটাই ওনার প্যাটার্ন। খুন করো, চাকরি দাও। যে টাকার থলি নিয়ে উনি বালাসোর গেছিলেন, সেটা কোথায় রেখে এলেন? উনি দেখছিলেন, লাস্ট স্কোর কত হচ্ছে? ৫০ পার হল কিনা? কেউ ওনার টাকা চায়না। স্বজন হারিয়ে কেউ টাকা চায়না। সবাই জীবনের সুরক্ষা চায়। জাস্টিস চায়। আমরা চাইনা কেউ মারা যাক, আর তাকে ক্ষতিপুরণ দিতে হোক। 

নজর রাজভবনে

রাজ্য সরকার যখন কারুর কথা শোনে না, তখন ভরসা চলে যায়। আমরাও গেছি। এখনও অনেকে যাচ্ছে। উনি সাংবিধানিক প্রধান। উনি শুধু শোনেন না। মাঠে ময়দানে গিয়ে সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি এখানকার পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকার বা রাষ্ট্রপতিকেও নিশ্চই জানিয়েছেন। তিনি pro active. নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে প্রশাসন। তাই বলে কি কেউ রাস্তায় বেরোবে না? তারা অভিযোগ পর্যন্ত নেন না। ফোন তোলেন না। যিনি কমিশনের ওপরে, যিনি তাকে নিয়োগ করেছেন, তিনিই তো মালিক। তার তো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.