বিকল্প নীতি কী? এখন থেকেই 'সোনার বাংলা'র রোডম্যাপ খুঁজতে নামল BJP
কর্মসংস্থান, শিল্প, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিকল্প নীতি ভোটারদের সামনে রাখতে হবে মোদী-শাহের দলকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শাসক দলের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-শিল্প নিয়ে অহরহ প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। দোষারোপের রাজনীতি কি বিজেপিকে মসনদে বসাতে পারবে? মমতা-বিরোধী নয়, বরং বিজেপির পক্ষে ভোট করানোর পক্ষে গেরুয়া শিবির। সে জন্য নির্বাচনের অনেক আগে শহরের একটি হোটেলে বসল বিজেপির ইস্তাহার বিষয়ক কমিটি। ওই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ দলের ১৪ জন সাংসদ।
পরের বছরে মার্চ-এপ্রিল নাগাদ হতে পারে বিধানসভার ভোট। কোভিড পরিস্থিতিতে সামান্য পিছোতেও পারে। সাধারণত ভোটের কাছাকাছি সময়ে শুরু হয় ইস্তাহার তৈরির প্রক্রিয়া। তবে অপেক্ষা করতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বছর ঘোরার আগেই বৃহস্পতিবার ইস্তাহার সংক্রান্ত বৈঠক হল শহরের একটি হোটেলে। ওই বৈঠকে ছিলেন ইস্তাহার বিষয়ক কমিটির সুভাষ সরকার, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ও অসীম ঘোষ। হাজির হন ১৪ জন সাংসদ। রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নথিবদ্ধ করা হয়েছে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের অভাব-অভিযোগ।
এ দিনই দিলীপ ঘোষ ডাক দিয়েছেন, সবাই মিলে লড়ব, সোনার বাংলা গড়ব। সংবিধান দিবস নতুন কর্মসূচির সূচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নাম দেওয়া হয়েছে, 'আমরা সবাই সাংসদ'। 'আমাদের দিলীপদা' ওয়েবসাইটে সরাসরি সমস্যা বলতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
1.3 I hope every citizen across West Bengal will join us for this initiative and join hands for a new and prosperous West Bengal. I also request all @BJP4Bengal karyakartas to spread awareness about this initiative amongst citizens.
"সবাই মিলে লড়বো , সোনার বাংলা গড়বো"
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) November 26, 2020
1.1 I am proud to declare on #ConstitutionDay our pathbreaking new initiative to empower the people of West Bengal “Amra Sobai Sangsod”.
Under this new program every citizen of Bengal can reach out to us using https://t.co/abyfS6csrR pic.twitter.com/ELcZr6DT6M— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) November 26, 2020
সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটে ২০০টি আসনের লক্ষ্য অমিত শাহের। কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে শুধুই কি একবগ্গা বিরোধিতা কাজে দেবে? এমন প্রশ্ন তো স্বাভাবিক। তৃণমূল অভিযোগ করছে, বিজেপি বহিরাগত নেতাদের আনছে। বাংলায় নেতা নেই। এ দিনও সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,'যাঁরা বাংলায় এসে দাঙ্গা, হাঙ্গামা করে তাঁরাই বহিরাগত।' সিপিএম-কংগ্রেস নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই প্রচার করছে, ধর্মের রাজনীতি ছাড়া বিজেপি অচল। অনেকেই মনে করছেন, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার লাভ অনেকখানি তুলতে পারে বিজেপি। মমতা বিরোধী ভোটের সিংহভাগও যেতে পারে তাদের ইভিএমে। তবে ইতিবাচক ভোট না পেলে ২০০ পর্যন্ত পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। তো ইতিবাচক ভোট আসবে কী করে? সে জন্য দরকার সুস্পষ্ঠ নীতি। তৃণমূলকে সরানো হলে বিজেপি কী করবে? কর্মসংস্থান, শিল্প, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিকল্প নীতি ভোটারদের সামনে রাখতে হবে মোদী-শাহের দলকে। জনতা-জনার্দনের 'মন কি বাত' অনুধাবন করেই নির্বাচনের বহু আগেই ইস্তাহার নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিল পদ্মশিবির, মত অনেকের।
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এবার রাজ্যের সব নাগরিক, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর