রাজ্যের উন্নয়ন ইস্যুতে শাসকদলের পাশে দাঁড়াল বিরোধীরা
রাজ্যের উন্নয়ন ইস্যুতে শাসকদলের পাশে দাঁড়াল বিরোধীরা। আজ বিধায়নসভায় পেশ করা কর্পোরেশন সংক্রান্ত ছটি বিলের মধ্যে পাঁচটিতেই সমর্থন জানায় বিরোধীরা। শুধুমাত্র একটি বিলের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে সেই বিলও পাস হয়ে যায়।
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের উন্নয়ন ইস্যুতে শাসকদলের পাশে দাঁড়াল বিরোধীরা। আজ বিধায়নসভায় পেশ করা কর্পোরেশন সংক্রান্ত ছটি বিলের মধ্যে পাঁচটিতেই সমর্থন জানায় বিরোধীরা। শুধুমাত্র একটি বিলের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে সেই বিলও পাস হয়ে যায়।
বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল ছ ছটি বিল। ছটির মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন মিউনিসিপ্যালিটির আইন সংশোধন সম্পর্কিত পাঁচটি বিলে শাসকদলকে সমর্থন জানায় বিরোধীরা। বুধবার বিধানসভায় এই পাঁচটি বিল পেশ করেন পুর ও নগরোন্নয়চন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তাঁকে সমর্থন করে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস সবকটি দলই। রাজ্যের উন্নয়ন ইস্যুতে যে রাজনৈতিক ভেদাভেদের উর্ধ্বে শাসকদলের পাশেই বিরোধীরা এদিন বিল পেশের সমর্থন জানিয়ে কার্যত সেটাই বুঝিয়ে দিলেন বিরোধীরা। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এদিন ইজ টু বিজনেস অর্থাত্ বিনিয়োগ সংক্রান্ত সব রকম প্রশাসনিক কাজ দ্রুত করার কথা ঘোষণা করেন পুরমন্ত্রী।
পাঁচটি বিলের ক্ষেত্রে বিরোধীদের সমর্থন পেলেও গোল বাঁধে ছনম্বর বিল অর্থাত্ হাওড়া কর্পোরেশন ও বালি পুরসভার সংযুক্তির প্রস্তাব পাস নিয়ে। বুধবার সংযুক্তি প্রস্তাবের বিরোধীতা করে বামেরা। এই প্রথম নয়, ২০০৪ সালে ক্যাবিনেটে এই প্রস্তাব পাসের পর মতামত চেয়ে বালি পুরসভার কাছে চিঠি পাঠান হাওড়ার ডিএম। সেই সময় ৩৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৩৩ জন প্রস্তাবের বিরোধীতা করেন। যাঁদের মধ্যে ৩২ জনই ছিলেন বাম কাউন্সিলর। এবং একজন তৃণমূল কাউন্সিলর। বুধবার কার্যত সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হয় বিধায়সভায়। বামেদের বিরোধিতার জেরেই হয় ভোটাভুটি। শেষ পর্যন্ত বিলের পক্ষে পড়ে ৬৪টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়ে ২৭টি ভোট। শেষ পর্যন্ত সংযুক্তি প্রস্তাব পাস হয়ে যায় বিধানসভায়।