কেন নেই মুখ্যমন্ত্রীর 'স্নেহভাজনরা'?

শিল্প-সংস্কৃতির জগতকে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শীতের দুপুরের মিঠে রোদে সংস্কৃতি আর গণ-বিনোদনের ফারাকটা গুলিয়ে গেল। বিদ্বজ্জনেদের বদলে টলিউড সেলিব্রিটিরাই হয়ে উঠলেন মিছিলের মুখ।  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, তাই মিছিল হল। কিন্তু, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় যাঁরা পথে নেমেছিলেন, বিধানসভা ভোটে পরিবর্তন চেয়েছিলেন, সেই পরিচিত মুখগুলি দেখা গেল না।

Updated By: Nov 28, 2014, 07:21 PM IST
কেন নেই মুখ্যমন্ত্রীর 'স্নেহভাজনরা'?

কলকাতা: শিল্প-সংস্কৃতির জগতকে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শীতের দুপুরের মিঠে রোদে সংস্কৃতি আর গণ-বিনোদনের ফারাকটা গুলিয়ে গেল। বিদ্বজ্জনেদের বদলে টলিউড সেলিব্রিটিরাই হয়ে উঠলেন মিছিলের মুখ।  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, তাই মিছিল হল। কিন্তু, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় যাঁরা পথে নেমেছিলেন, বিধানসভা ভোটে পরিবর্তন চেয়েছিলেন, সেই পরিচিত মুখগুলি দেখা গেল না।

নানা ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে সরব কৌশিক সেন মিছিলে আসেননি।  জয় গোস্বামী মিছিল থেকে দূরেই রইলেন। দেখা গেল না শাঁওলী মিত্রকে। পথে নামলেন না সুনন্দ সান্যাল। পা মেলালেন না বিভাস চক্রবর্তী। ঘোষিতভাবেই সরকার বিরোধী সুমন মুখোপাধ্যায়ের মিছিলে আসার কোনও প্রশ্নই ছিল না। এলেন না সমীর আইচ। দূরে রইলেন  অপর্ণা সেনও।

শঙ্খ ঘোষ, কবীর সুমনও মিছিলের দিকে পা বাড়াননি। ইডি-র ডাক শুনে গা ঢাকা দিয়েছেন । আছেন কোথায় কাকপক্ষীতেও টের পাচ্ছিল না। তাই, মিছিলে ছিলেন না শুভাপ্রসন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ দুই
অভিনেত্রী জুন মালিয়া ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ও রাস্তায় নামেননি।

কারা নেই তা তো বোঝা গেল। কিন্তু, দেখা গেল কাদের? মিছিল আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন অরিন্দম শীল ও সুবোধ সরকার। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই যাঁরা বাম শিবির ছেড়ে নাম লিখিয়েছিলেন শাসক শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মিছিল। তাই, স্টুডিও পাড়ার অনেকেই না এসে পারেননি। আর ভিড় বাড়িয়েছিলেন পথচলতি কৌতুহলী মানুষের দল, শীতের দুপুরে সেলিব্রেটি দর্শনের আশায়।

 

.