কেন অভিনব ধর্নায় বসল সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চা? জেনে নিন

সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চার আরও দাবি, আইনব্যবস্থা ও প্রশাসনিক মানসিকতা বা আচরণে লিঙ্গবৈষম্য দুর হোক। তাঁদের ফের অভিযোগ, রাজ্যে ৫০ শতাংশ মহিলা ভোটারের পাশাপাশি ৫০ শতাংশ পুরুষ ভোটারও আছেন। অথচ স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী  বা লক্ষীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প নারী কেন্দ্রীক।

Edited By: সব্যসাচী বাগচী | Updated By: Jul 29, 2023, 05:47 PM IST
কেন অভিনব ধর্নায় বসল সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চা? জেনে নিন
অভিনব ধর্নায় বসল সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চা।

অয়ন ঘোষাল, কলকাতা: ওদের কেউ স্ত্রীর মানসিক ও শারীরিক নিপীড়নের শিকার। প্রেমের জালে জড়িয়ে কারও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাঁদের প্রেমিকা। পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও লাভ হয়নি। পালটা অভিযুক্তের অভিযোগের ভিত্তিতে রাত কাটিয়েছেন লক আপে। ওরা কেউ এসেছেন বালুরঘাট থেকে। কারুর বাড়ি কল্যাণী। কেউ বীজপুর-কাঁচরাপাড়া, কেউ বা খাস কলকাতার। ওদের একটাই দাবি, আলাদা করে পুরুষদের জন্য কোনও বাড়তি সুবিধা চাই না। 

আর সেইজন্য এবার ময়দানের মহাত্মা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দু'দিনের অভিনব ধর্নায় সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চা। কিন্তু কোন দাবিকে সামনে রেখে ধর্নায় বসল সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চা। 

সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চার আরও দাবি, আইনব্যবস্থা ও প্রশাসনিক মানসিকতা বা আচরণে লিঙ্গবৈষম্য দুর হোক। তাঁদের ফের অভিযোগ, রাজ্যে ৫০ শতাংশ মহিলা ভোটারের পাশাপাশি ৫০ শতাংশ পুরুষ ভোটারও আছেন। অথচ স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী  বা লক্ষীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প নারী কেন্দ্রীক। তাহলে কেন এই বৈষম্য? তারাও ভোট দেন। তাহলে কেন পুরুষদের বেশ কিছু আইনের ক্ষেত্রে চাপে রাখা হবে! এমন কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে শনি ও রবিবার মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে ধর্নায় বসেছে সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চা নামে এই অরাজনৈতিক সংগঠন। নারী সুরক্ষার নামে আদতে যে চুড়ান্ত লিঙ্গ বৈষম্য চলছে, এর প্রতিবাদেই এই ধর্না। 

আরও পড়ুন: Humayun Kabir: 'আর্থিক অবস্থা ভালো নয় মুসলিম মহিলাদের', হুমায়ুনের মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ দল!

আরও পড়ুন: Yatri Sathi: শহরে চালু যাত্রী সাথী, এবার অ্যাপের মাধ্যমেই মিলবে হলুদ ট্যাক্সি

মূলত তিনটি দাবি সামনে রাখল সমাজতান্ত্রিক বঙ্গীয় পুরুষ মোর্চা...

১) পুরুষ ও তার সমগ্র পরিবারের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে ৪৯৮বি আইন চালু করতে হবে। 

২) অবিলম্বে পারিবারিক হিংসা আইন ২০০৫ ক্ষতিপূরণ এবং ১২৫ রক্ষণাবেক্ষণ আইন বাতিল করতে হবে। 

৩) শক্ত প্রমাণ ছাড়া কোনও পুরুষ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না। বিচার পরবর্তী সেই পুরুষ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে যে পুলিস অফিসার তার বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেছিলেন, সেই পুলিসের কমপক্ষে সাত বছরের জেলে ভরার শাস্তি দিতে হবে। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.