মেট্রোরেলই কি পথ দেখাতে চলেছে মেট্রোসিটির দুর্গাপুজোয়?

এ বারের পুজোয় বরাবরের মতোই গুঁতোগুঁতি করে ফুচকা-আইসক্রিম সাঁটিয়ে বিরিয়ানি-চাউমিন উড়িয়ে যথারীতি প্যান্ডেল-হপিংয়ে বেরনো যাবে তো? সেই সব উত্তরই এ বার মিলতে চলছে। আর নিজের অজ্ঞাতসারে এই উত্তর মিলিয়ে দিতে চলেছে কলকাতার মেট্রোরেল সার্ভিস।

Updated By: Sep 18, 2020, 01:08 PM IST
মেট্রোরেলই কি পথ দেখাতে চলেছে মেট্রোসিটির দুর্গাপুজোয়?

নিজস্ব প্রতিবেদন: সেই প্রথম করোনা-লগ্ন থেকেই আমবাঙালির যে চিন্তায় ঘুম প্রায় উড়ে যেতে বসেছিল, তা হল, এ বারের পুজোয় বরাবরের মতোই গুঁতোগুঁতি করে ফুচকা-আইসক্রিম সাঁটিয়ে বিরিয়ানি-চাউমিন উড়িয়ে যথারীতি প্যান্ডেল-হপিংয়ে বেরনো যাবে তো? 

না হলে জীবন ষোলোআনাই যে বৃথা! বচ্ছরকার দিনগুলিতে গাঁতিয়ে খিল্লি-মস্তি ধস্তাধস্তি না করলে আর কীসের এই বাঙালিজন্ম! এ দিকে বিষয়টা প্রায় সেদিকে যাচ্ছিল, যাচ্ছেও। কেননা, করোনা সংক্রমণ, লকডাউন, কনটেনমেন্ট জোন, রেড জোন ইত্যাকার নানাবিধ বিধি এবং নিষেধের বেড়াজালে বাঙালির পুজো উপভোগের সমস্ত আনন্দটাই মাটি হতে বসেছে। এরকমই চলবে? বাঙালি মুখ শুকনো করেই থাকবে?

সেই সব উত্তরই এ বার মিলতে চলছে। আর নিজের অজ্ঞাতসারে এই উত্তর মিলিয়ে দিতে চলেছে কলকাতার মেট্রোরেল সার্ভিস, যা সদ্য  শুরু হয়ে শহরের প্রাণস্পন্দনকে ফের উজ্জীবিত করে তুলেছে। কলকাতার টপ গ্রেডের বারোয়ারি পুজোগুলি এখন চিন্তা করছে, ঠিক যে ভাবে মেট্রোরেল ই-পাস চালু করে এক ধাক্কায় ভিড় অনেকটা কমিয়ে ফেলেছে, যদি সেভাবেই ই-পাসের মাধ্যমে প্রতিমাদর্শনকামী বিপুল ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, পুজোর দিনগুলিতে?

করোনা-আবহে পুজো নিয়ে নানা রকম ভাবনা-চিন্তা অবশ্য অনেকদিন থেকেই চলছে। পুজোর দিনগুলিতে রাতের দিকের ভিড় রুখতে নিয়ন্ত্রিত আলোকসজ্জা, প্রতিমা ও মণ্ডপের উচ্চতা কমানো, মণ্ডপের ভিতরে সর্বোচ্চ ২৫ জন দর্শনার্থী ইত্যাদির ভাবনা ভাবাই ছিল। এ বার তার সঙ্গে যোগ হল ই-পাসের ভাবনাও। এবং সেই ভাবনার ধরতাই দিয়েছে কলকাতা মেট্রো। 

প্রখ্যাত বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা এই সব বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসবেনও। !আগামী ২৫ সেপ্টম্বরে সেই বৈঠকের দিন ধার্য হয়েছে। 

এখন দেখার, সেই বৈঠকে কী ভাবে ই-পাসের মাধ্যমে কলকাতার পুজোপাগল জনসাধারণকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে পুজো দর্শন করানোর পরিকল্পনা করা হয়!              

.