Reels Accident: রিলস বানাতে গিয়ে তিনতলা থেকে পড়ে গেলেন তরুণী! তারপর...

 'ভিডিয়ো করছি। এদিক-ওদিক সেদিক যাচ্ছি,  রিলস বানাচ্ছি। পিছনে যে চলে এসেছি অনেকটা। খেয়াল করিনি', হাসপাতালের বেডে শুয়ে বললেন তিনি।

Updated By: Nov 16, 2023, 09:47 PM IST
Reels Accident: রিলস বানাতে গিয়ে তিনতলা থেকে পড়ে গেলেন তরুণী! তারপর...

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: রিলস বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা। কীভাবে? তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে দুই পা ভাঙল তরুণীর! শুধু তাই নয়, পা বাদ দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। আপৎকালীন অস্ত্রোপচার করে কোনওমতে পা বাঁচালেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন:  Justice Abhijit Ganguly: 'আইভরি টাওয়ারে বসে বিচার করলে চলবে না, গরিবের কথা ভাবতে হবে!'

জানা গিয়েছে,  ওই তরুণীর নাম তণ্বিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি, উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে। কালিপুজোর পরের দিন, সোমবার দুপুরে বাড়ির তিনতলার ছাদে ওঠে রিলস বানাচ্ছিলেন তিনি। তারপর? অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যান বছর সাতাশের ওই তরুণী। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় আরজিকর হাসপাতালে। 

এদিকে শারীরিক অবস্থা তখন রীতিমতো আশঙ্কাজনক। দুই পায়ের গোড়ালী, এবং পায়ের সংযোগস্থলের হাড় টুকরো টুকরো হয়ে বেরিয়ে এসেছে ত্বক ভেদ করে। পায়ের পাতায় কোনও সাড় নেই। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে তরুণীকে বাঁচাতে প্রয়োজনে দুই পাদ বাদ দেওয়ার জন্য় পরিবারের অনুমতি চান চিকিৎসকরা। ঠিক কোথায় কতটা হাড় ভেঙেছিল? দুই পায়ের গোড়ালির সঙ্গেই কার্যত টুকরো টুকরো হয়ে যায় দুই পায়ের টিবিয়া, ফিবুলা হাড়ও। ভাঙা হাড় পায়ের পাতা ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে।  

আপাতত দুটো অস্ত্রোপচার করে সামাল দেওয়া গিয়েছে প্রাথমিক বিপদ। পায়ে সাড় এসেছে ওই তরুণীর। যদিও আগামীদিনে আরও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে ওই তরুণীর তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন:  Kolkata High Court: থানার ভিতর ২ মিনিট কী ঘটে? আমহার্স্টস্ট্রিট কাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে হাইকোর্টে মৃতের পরিবার!

কীভাবে দুর্ঘটনা? হাসপাতালে বেডে শুয়ে তনিষ্ঠা বলেন, 'ভিডিয়ো করছি। এদিক-ওদিক সেদিক যাচ্ছি,  রিলস বানাচ্ছি। পিছনে যে চলে এসেছি অনেকটা। খেয়াল করিনি'। তিনি জানান, 'যেখান থেকে পড়েছি, ওদিকে ছাদের পাঁচিল একটু নিচু ছিল আর কী! পুরো পাঁচিলটাই কোমর থেকে একটু নিচু। ওদিকেরটা আর একটু নিচু ছিল। এসি লাগানোর জায়গা ছিল তো। কোমরটা হয়তো পিছলে গিয়েছে বা জুতোটা পিছলে গিয়েছে। ওই সময়ের কথা সেভাবে আর মনে নেই'।

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভূমিকায় আপ্লুত তণ্বিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কথায়, “অর্থোপেডিক বিভাগের সব ডাক্তারবাবু তো বটেই সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী- চিকিৎসক বিরুপাক্ষ বিশ্বাস এবং এই হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাস এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা আমরা বলে বোঝাতে পারব না। ওঁরা আমাদের জন্য ভগবান।”

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.