ব্যস্ত সময়ে বাসের রেষারেষিতে হাত খোয়ালেন মহিলা, কাট হাত মিলল পুলিস মর্গ থেকে
ব্যস্ত সময়ে মিছিল। সঙ্গে বেসরকারি বাসের রেষারেষি। দুয়ের গেরোয় হাত খোয়ালেন মহিলা যাত্রী। পুলিসের অপদার্থতায় উধাও হয়ে যায় মহিলার কাটা হাত। পরে পুলিস মর্গ থেকে মেলে হাতটি।
অন্যদিনের মতোই অফিসে বেরিয়েছিলেন সীতা রাউত। পদ্মপুকুর থেকে গন্তব্য বিবেকানন্দ রোড। উঠেছিলেন দুশো চল্লিশ নম্বর বাসে। বিধান সরণিএবং কৈলাস বোস স্ট্রিটের সংযোগস্থলে আসতেই ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। মিছিল দেখেই তাড়াহুড়ো করে নামতে যান সীতা। আর বেপরোয়া ড্রাইভারও চালিয়ে দেন বাস। রাস্তায় পড়ে যান ওই মহিলা। তাঁর ডানহাতের ওপর দিয়েই চলে যায় বাসের চাকা। কাটা যায় হাত।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় গিরিশ পার্ক থানার পুলিস। আটক করা হয় বাসটিকে। গ্রেফতার করা হয় ওই বেপরোয়া চালককে। খবর পেয়ে চলে আসেন সীতার সহকর্মীরাও। নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু হাতটি জোড়া লাগা নিয়েই দেখা দেয় সংশয়। কারণ, মেডিক্যাল কলেজে পরিকাঠামোর অভাব। তবে সীতাকে ওটিতে ঢোকানোর সময় দেখা দেয় অন্য বিপত্তি। খোঁজ পড়ে কাটা হাতের। চিকিত্সকেরা জানিয়ে দেন, মহিলার কাটা হাতটি আনাই হয়নি হাসপাতালে। ফলে জোড়া যায়নি কাটা হাত। পরে অবশ্য পুলিস মর্গে খোঁজ মেলে হাতটির।
একদিকে মিছিল, অন্যদিকে বেপরোয়া বাস। আর এই দুইয়ের গেরোয় দুর্ঘটনায় হাত খোয়ালেন মহিলা। আর সেই হাত মিলল পুলিস মর্গে। হাতটি কী করে গেল পুলিস মর্গে? তার দায়ই বা নেবে কে? প্রশ্ন উঠছে, রাস্তায় বেরিয়ে কতটা নিরাপদ এ শহরের মানুষ? কতটাই বা ভরসা রাখা যায় এ শহরের পুলিসের ওপর?