Behala: মুখে জড়ানো ওড়না, পুকুরে উদ্ধার মহিলার দেহ! মৃত্যু কারণ ঘিরে 'রহস্য'...

মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। খুন না আত্মহত্যা, সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে পর্ণশ্রী থানার পুলিস।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের বেহালায় উত্তেজনা। সাতসকালে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ। আর সেই দেহ উদ্ধার ঘিরেই উত্তেজনা ছড়াল বেহালা পর্ণশ্রী থানা এলাকায়। এদিন সকালে পর্ণশ্রী থানা এলাকার শ্যামসুন্দর পল্লিতে রাস্তার ধারে পুকুরে এক মহিলার দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। সকালবেলায় এলাকার মানুষজন যখন রাস্তার ধার দিয়ে যায়, সেই সময় পুকুরের মধ্যে দেহটি দেখতে পায়।

মৃতের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩২ বছর। মহিলার মুখে ওড়না জড়ানো ছিল। পায়ে চটি পরা ছিল। যদিও ওই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় মানুষদের সন্দেহ, ওই মহিলাকে হয়তো কোনও জায়গায় খুন করে তারপর পুকুরে এনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আবার পাশাপাশি আত্মহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। পর্ণশ্রী থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে আসে। খুন না আত্মহত্যা, সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে পর্ণশ্রী থানার পুলিস।

উল্লেখ্য, গতকালই বেহালার সুকান্ত পল্লিতে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। স্ত্রীকে খুন করেই নিজেই ১০০ ডায়াল করে পুলিসকে খবর দেয় স্বামী। সুকান্ত পল্লিতে স্ত্রী সমাপ্তি দাস ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকত কার্তিক দাস। দম্পতির ১২ বছরের একটি মেয়ে ও ৫ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ১ বছর ধরে সুকান্ত পল্লিতে ভাড়া ছিল কার্তিক দাস ও সমাপ্তি দাস। জানা গিয়েছে, ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরে মাঝে মাঝেই সংসারে অশান্তি হত। স্ত্রী সমাপ্তি অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল। একথা জানতে পারার পর থেকেই সংসারে অশান্তির শুরু।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। বুধবার রাত থেকে অশান্তি শুরু হয়। এরপর গভীর রাতে, রাত ২টো নাগাদ বিবাদ চলাকালীনই স্ত্রী সমাপ্তি দাসকে কার্তিক খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর বৃহস্পতিবার সকালে নিজেই ১০০ ডায়ালে ফোন করে অভিযুক্ত কার্তিক দাস পুলিসকে নিজের কৃতকর্মের কথা জানায়। ১০০ ডায়ালে খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বেহালা থানার ওসি। খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বেহালা থানার পুলিস।