একটা প্রশ্নের উত্তর অমিল, বালিগঞ্জের বৃদ্ধার মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য
ই চিত্কারে ততক্ষণে জড়ো হয়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল সাতটা। রাস্তার মোটামুটি ফাঁকাই। আচমকাই একটা আর্তনাদ। রাস্তায় সেসময় ছিল কয়েকজন ট্যাক্সিচালক ও রিক্সাওয়ালা। প্রথম তাঁরাই দেখতে পান বিষয়টি। দৌড়ে এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। চোখের পাতা খোলা, মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে গোঙানি শব্দ। বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখে বহুতল বাসিন্দাদের খবর দেন ট্যাক্সিচালকরা। তাঁদেরই চিত্কারে ততক্ষণে জড়ো হয়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, যাঁদের বাড়ির সদস্য এভাবে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গেলেন, তাঁরাই ঘরে থেকে দেরি করলেন বেরোতে। বালিগঞ্জ থানা এলাকার আর্লে স্ট্রিটের বহুতল থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ফিরে লুকিয়ে টিফিন খাচ্ছিল দুই বোন, লাঞ্চ বক্সের দিকে তাকাতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল মায়ের
বছর ৬৪-র বৃদ্ধা যারাস্তামিনী দেশাই বালিগঞ্জের আর্লে স্ট্রিটের একটি বহুতল আবাসনের ছ’তলায় থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই থাকতেন ছেলে-বউমারা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে পড়ে যান। আবাসনের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সিচালকরাই প্রথম বিষয়টি দেখতে পান। তাঁরাই ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। খবর দেন পরিবারকে। কিন্তু অভিযোগ, পরিবারের সদস্যরা যারাস্তামিনী দেশাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে দীর্ঘক্ষণ বাড়িতেই ফেলে রাখেন। পরে যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণে সব শেষ।
বৃদ্ধার মৃত্যু ঘিরে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন জেগেছে প্রতিবেশীদের মনে। অনেকটা উঁচু ঘেরা জায়গা থেকে ওই বৃদ্ধা কীভাবে নীচে পড়ে গেলেন? কেন ওই বৃদ্ধাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেল না পরিবার? আদৌ কি এটি দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।