বনমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব, চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যায়নের দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমের কাঁধে
চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যায়ন হবে। স্বাভাবিকভাবেই এ কাজের দায়িত্বভার পাওয়ার কথা বনমন্ত্রীর। কিন্তু যাবতীয় দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হল পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে। দায়িত্ব দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আচমকা এভাবে বনমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। গিয়েছিলেন চিড়িয়াখানায় স্বয়ংক্রিয় গেট উদ্বোধন করতে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী আলিপুর চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যায়নের জন্য অর্থবরাদ্দ করলেন। একেবারে চটজলদি কোটি টাকার ঘোষণা।
চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যায়ন হবে। স্বাভাবিকভাবেই এ কাজের দায়িত্বভার পাওয়ার কথা বনমন্ত্রীর। কিন্তু যাবতীয় দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হল পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে। দায়িত্ব দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আচমকা এভাবে বনমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। গিয়েছিলেন চিড়িয়াখানায় স্বয়ংক্রিয় গেট উদ্বোধন করতে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী আলিপুর চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যায়নের জন্য অর্থবরাদ্দ করলেন। একেবারে চটজলদি কোটি টাকার ঘোষণা।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই ছিলেন বনমন্ত্রী। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নাম নিলেন পুরমন্ত্রীর। সৌন্দর্যায়ন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি সব কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্বও পুরমন্ত্রীকেই দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বনমন্ত্রী হিতেন বর্মণের ক্ষমতা খর্ব করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী?
এই বিতর্কের পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হওয়া স্বয়ংক্রিয় গেট নিয়েও আরেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিন উদ্বোধন হয়ে গেলেও, আঠেরোটির মধ্যে কটি গেট এখনই কাজের জন্য তৈরি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কর্মী নিয়োগ না করেই কেন উদ্বোধন করে দেওয়া হল গেটগুলির, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
অন্যদিকে কর্মী ইউনিয়নের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের সঙ্গে গলা মেলালেন না বনমন্ত্রী। আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন করতে গিয়ে চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের খাবার না পাওয়ার ঘটনা একরকম পাপ। বনমন্ত্রী কিন্তু জানিয়ে দিলেন, কর্মী আন্দোলনের ফলে পশুপাখি খাবার পায়নি এমন কোনও ঘটনা তাঁর জানা নেই। শ্রমিক সংগঠনের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি।মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যই বিতর্কের কারণ। বৃহস্পতিবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় স্বয়ংক্রিয় গেট উদ্বোধন করতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উদ্বোধনপর্ব শেষে আচমকাই চিড়িয়াখানায় ইউনিয়ন করা নিয়ে সরব হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর দাওয়াইও নিজেই দিয়েছেন তিনি।
ইউনিয়ন করা নিয়ে কর্মীদের এদিন কার্যত হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ইউনিয়নগুলির অশান্তির জন্য পশুপাখিদের খাবার না পাওয়ার মতো কোনও ঘটনা জানা নেই খোদ বনমন্ত্রীর।
ইউনিয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধির ছায়া দেখছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি।