Thekua: শুধু ছটের প্রসাদ নয়, ঠেকুয়ায় রয়েছে ভরপুর উপরকারিতা, জেনে নিন
কীভাবে ছট্ পুজোর সময় ঠেকুয়া তৈরি করা হয়?
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীপাবলির অমাবস্যার পর কার্তিক মাসের শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পূজিত হন সূর্যদেবতা বা ছট পুজো। যার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ছয় বা ‘ছট’ শব্দটি৷ এ বছর আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ছট।আর এই পুজো প্রসাদ হিসাবে সূর্য দেবতাকে অর্পণ করা হয় ঠেকুয়া। এই খাবারকে খাজুরিয়া বা ঠিকারি বলা হয়। তবে শুধু প্রসাদই নয় ঠেকুয়ার নানা উপকারিতারও রয়েছে। বিভিন্ন শারীরিক ব্যাধির নিরাময়ও হয়।
পুজোর দিনগুলোয় বাড়িতেই ঠেকুয়া তৈরি করেন। এই ঠেকুয়া সুস্বাদুও বটে। কীভাবে ছট্ পুজোর সময় ঠেকুয়া তৈরি করা হয়? দেখে নেওয়া যাক ঠেকুয়া তৈরির পদ্ধতি-
ঠেকুয়া তৈরি করতে যে যে উপকরণগুলো লাগে-
১. ৫০০ গ্রাম ময়দা
২. ২৫০ গ্রাম গুড়
৩. ভাজার জন্য পরিমাণমতো ঘি
৪. এলাচ ১০টি
৫. নারকেল কুড়োনো এক কাপ
অনেকে ঘিয়ের পরিবর্তে ব্যবহার করেন সাদা তেলও৷ সুবাসের জন্য যোগ করা যায় এলাচগুঁড়ো৷ গরম অবস্থায় নরম থাকা ঠেকুয়া যত ঠান্ডা হয়, তত জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে যায়৷ কোনও সংরক্ষণ ছাড়া অনেক দিন অবধি দিব্যি রাখা যায় এই মিষ্টি৷
আরও পড়ুন, Black Salt: ডায়াবিটিসের থেকে মুক্তি পেতে ও দ্রুত ওজন কমাতে নিয়মিত বিট নুন খান
চটজলদি কর্মশক্তি ফিরিয়ে আনে ঠেকুয়া৷ আটা দিয়ে তৈরি হওয়ায় ফেকুয়ায় পাওয়া যায় ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-৩, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ফাইবার৷ ফলে শরীরে পুষ্টিগুণের অভাব হয় না৷ডিটক্স করার উপাদান হিসেবে গুড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ লিভার পরিষ্কার রেখে গ্যাসট্রিকের একাধিক উপসর্গ দূর করে গুড়৷ পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রিত হয়৷ গুড়ে থাকা জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷
কীভাবে তৈরি হয় ঠেকুয়া ?
তেল বাদে বাকী সমস্ত উপকরণ আটার সঙ্গে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। রুটি তৈরির আটা মাখার মত করে দুধ দিয়ে খুব ভাল করে মেখে মন্ড তৈরি করার পর সেখান থেকে লুচির আকারের থেকে একটু বড় মাপের লেচি বের করে নিতে হবে। হাতে ঘি মাখিয়ে লেচিগুলো চেপে চেপে চ্যাপটা আকারের বা পছন্দ মত আকারে গড়ে নিতে পারেন। এরপর আঁচ কমিয়ে ডুবো তেলে লালচে করে ভেজে নিন। তারপরে ইচ্ছেমত পরিবেশন করুন ঠেকুয়া। কৌটোবন্দী করে রেখে পরেও খেতে পারেন।