রাষ্ট্রপুঞ্জের আটটি পরিযায়ী পাখির গন্তব্যস্থলে অন্তর্ভুক্ত চিল্কা হ্রদ
ভারতের জীব বৈচিত্রের অন্যতম অঞ্চল চিল্কা হ্রদকে পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম গন্তব্যস্থল হিসেবে ঘোষনা করল ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ট্যুরিসম অর্গানাইজেশন। বিশ্বের আরও সাতটি অঞ্চলের সঙ্গে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চিল্কা।
ভারতের জীব বৈচিত্রের অন্যতম অঞ্চল চিল্কা হ্রদকে পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম গন্তব্যস্থল হিসেবে ঘোষনা করল ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ট্যুরিসম অর্গানাইজেশন। বিশ্বের আরও সাতটি অঞ্চলের সঙ্গে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চিল্কা।
ইউনাইটেড নেশনস-এর `ডেস্টিনেশন ফ্লাইওয়ে` প্রকল্পের বিশেষ দল চিল্কা ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে সাহায্য করবে পরিযায়ী পাখিদের রক্ষার জন্য। সেইসঙ্গেই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবেশ মন্ত্রক ও জার্মানির পরিবেশ সংরক্ষণ ও নিউক্লিয়ার সেফটির থেকে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থাও করা হবে। নির্বাচিত আটটি অঞ্চলের মধ্যে এশিয়া থেকে একমাত্র চিল্কা হ্রদই স্থান পেয়েছে এই তালিকায়। সেক্রেটারিয়েট অফ দ্য কনভেনশন অফ বায়লজিকাল ডাইভার্সিটি, কনভেনশন অফ মাইগ্রেটরি স্পিসিস, রামসর কনভেনশন সেক্রেটারিয়েট, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ অ্যান্ড ম্যান ও ইউনেস্কোর বায়োস্ফিয়ার প্রোগ্রামের মতো ৬টি এজেন্সি মনোনীত করেছিল চিল্কা হ্রদকে।
জানুয়ারি মাসে চিল্কার জন্য মিশন তৈরি করে ইউএনডব্লিউটিও। মিশনের শীর্ষে রয়েছেন ভার্জিনিয়া থাপা ও ড. তেজ মুন্দকুর। গত সপ্তাহে ভারতে এসে দেশের পর্যটন মন্ত্রক ও ওড়িশার পর্যটন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেছেন থাপা ও তেজ। সেইসঙ্গেই সিডিএ-র মুখ্য আধিকারিক অজিত পটনায়কের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা। এই বছর চিল্কার ১১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মোট ৭.১৯ লক্ষ পরিযায়ী পাখির আনাগোনা দেখা গেছে। যদিও তা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় কম। গত মোট ১৮০ প্রজাতির ৮.৭৭ লক্ষ পরিযায়ী পাখি এসেছিল চিল্কায়। ২০১২ সালে যেই সংখ্য ছিল ৮.৮৩ লক্ষ।