Nawabi Biryani Kolkata: কলকাতায় খাঁটি নবাবি বিরিয়ানির ঠিকানা চেনেন?
সময়কাল সিপাহি বিদ্রোহের এক বছর আগে। ১৮৫৬। কলকাতায় এলেন নবাব। তিনি এই শহরটায় কাটিয়ে গেলেন দীর্ঘ ২৬টি বছর। আর লখনউ থেকে বাবুর্চি, খানসামাদের নিয়ে এসে কলকাতায় আওয়াধি বিরিয়ানির প্রচলন করলেন তিনি।
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: আজ বিরিয়ানি ডে। ওয়ার্ল্ড বিরিয়ানি ডে। বিরিয়ানি তো বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। কিন্তু কলকাতায় বিরিয়ানির শুরুয়াত কার হাত ধরে জানেন?
তিনি লখনউয়ের শেষ নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ। কলকাতার মেটিয়াবুরুজে থাকাকালীন তিনিই আওয়াধি বিরিয়ানির প্রবর্তন করেন এ শহরে। আজও তাঁর বংশধর বয়ে নিয়ে চলেছেন আওয়াধি বিরিয়ানির সেই ট্রাডিশন। ৫৪ বছরের প্রৌঢ়া মঞ্জিলত ফতিমার হাতের সেই বিরিয়ানি বিস্মৃতপ্রায় নবাবকে মনে করায় আজও।
সময়কাল সিপাহি বিদ্রোহের এক বছর আগে। ১৮৫৬। কলকাতায় এলেন নবাব। তিনি এই শহরটায় কাটিয়ে গেলেন দীর্ঘ ২৬টি বছর। আর লখনউ থেকে বাবুর্চি, খানসামাদের নিয়ে এসে কলকাতায় আওয়াধি বিরিয়ানির প্রচলন করলেন তিনি।
আজকের কলকাতার বিরিয়ানিতে আমরা যে আলু পাই তার ব্যবহার শুরু করেন এই নবাবই। নবাবের স্মৃতি আজ বাঙালির মনে ফিকে। ক'জন জানেন কলকাতার বিরিয়ানির ইতিহাস? সেই দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন ওয়াজিদ আলি শাহের বংশধর মঞ্জিলত ফতিমা। আনন্দপুরে নিজের হেঁসেলে আজও রকমারি মশলা সহযোগে অথেন্টিক নবাবি বিরিয়ানি বানিয়ে চলেছেন নিজের হাতে। 'বিরিয়ানি ডে' শুনলেই যিনি নস্টালজিক হয়ে ওঠেন, অনুভব করেন গর্ব।
আরও পড়ুন: World Biryani Day: বিরিয়ানি দিবসের দিব্বি! অল্পেতে স্বাদ মেটে না, এ আলুর ভাগ হবে না...