Happy Sunday: নিশ্চয়ই চান রবিবারটা দারুণ কাটুক? এই সব টোটকা অবশ্যই মেনে চলুন, ঘটবে ম্যাজিক...
Happy SunDay: রবিবারের দিকে চেয়ে বসে থাকেন সকলেই। সারা সপ্তাহের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরে একটু বিশ্রাম, একটু নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার অবসর। কিন্তু কখনও কখনও সপ্তাহের মাত্র একটি ছুটির দিনও তিক্ত, রুক্ষ, নীরস হয়ে ওঠে। তবে খারাপ রবিবারকে ভালো রবিবারে বদলে ফেলার কিছু টোটকা আছে। সেগুলি মেনে চললে প্রতিটি রবিবারই হয়ে উঠবে সার্থক ছুটির দিন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বাভাবিক শিডিউলে কাজ করা প্রতিটি কর্মীই রবিবার দিনটির দিকে চেয়ে বসে থাকেন। সারা সপ্তাহের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরে একটু বিশ্রাম, একটু স্থির হয়ে বসা, একটু নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার অবসর পাওয়া। কিন্তু কখনও কখনও এমনও সময় যায় যখন সপ্তাহের মাত্র একটি ছুটির দিন নানা কারণে হয়ে ওঠে তিক্ত, রুক্ষ, কঠিন, নীরস। তবে একটা খারাপ রবিবারকে ভালো রবিবারে বদলে ফেলার কিছু টোটকা অবশ্যই আছে। সেগুলি মেনে চললেই আপনার প্রতিটি রবিবারই হয়ে উঠবে এক সার্থক ছুটির দিন। রবিবার নির্দিষ্ট সময়ে কিছু বিশেষ টোটকা মেনে চললে এবং বিহেভিয়ারাল প্যাটার্ন কিছুটা বদলে নিলেই হাতে হাতে মিলবে উপকার। ঘটে যাবে ম্যাজিক!
সকালেই স্নান
ছুটির দিন বলে রবিবার দেরি করে স্নান করবেন না। বরং সকালেই স্নানটা সেরে নিন। তারপর পরিষ্কার পোশাক পরুন, কপালে চন্দনের তিলক লাগান। এবার সূর্য দেবকে মনে-মনে অর্ঘ্য দিন। এজন্য মোটামুটি চেনা-পরিচিত কিছু মন্ত্রও আছে। সেগুলি সংগ্রহ করুন ও পাঠ করুন।
রবি-দিনে দান
বলা হয়, রবিবার কিছু দান করলে সেটা ভালো। দানের ক্ষেত্রে কোন কোন জিনিস বিশেষ মাঙ্গলিক, তা-ও বলা হয়েছে। যেমন, এদিন গুড়, দুধ, চাল বা বস্ত্র দান করাকে শুভ বলে মনে করা হয়। এতে ভাগ্যোন্নতি হয়। এতে জীবনের খারাপ সময় কেটে যায়। মনে শান্তি আসে।
রবি-সন্ধেয় ঘৃতদীপ
প্রতি রবিবার সন্ধ্যায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। প্রদীপটি রাখুন বাড়ির সদরে বা ফ্ল্যাটের প্রবেশদ্বারে। বলা হয়, এতে অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা কেটে যায়। মা লক্ষ্মী তুষ্ট হন। বাড়িতে শান্তি নামে। মনও ভালো থাকে।
রবি-বাসরে একা
রবিবারটাই ছুটির দিন বলে ওদিন সারা সময়টা জুড়েই যে বিস্তর লোকজনের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা-গল্প করে যেতে হবে, তা নয়। বরং এদিনটা একটু একা থাকতে শিখুন। মানে, ঘরের দরজা বন্ধ করে সকলের থেকে আলাদা হওয়া নয়। বাড়িতে গেস্ট আসুন, আপনি তাঁকে সময়ও দিন। তবে এরই ফাঁকে নিজের জন্যও একটু সময় রাখুন, নিজের সঙ্গে নিজে সময় কাটান। এই টোটকাটা আপনাকে চিন্তাশীল করবে, আপনাকে সৃষ্টিশীল করবে, আপনাকে অন্তর্ভেদী দৃষ্টিসম্পন্ন এক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
নিজের মতো করে
রবিবার যে কোনও কাজ করুন সম্পূর্ণ নিজের মতো করে, নিজের ভঙ্গিতে। মানে, রোজ যা করেন, যেভাবে করেন, রবিবার সেটাই করবেন না, বা করতে হলে সেভাবেই করবেন না। সেই কাজটা নিয়ে নতুন ভাবে ভাবুন। আর নতুন করে ভাবতে তো সময় লাগে। রবিবার নিজেকে সেই সময়টা দিন।
এর সব ক'টি কিংবা যে ক'টি আপনার পক্ষে সম্ভব, তা আগামী রবিবার থেকেই মেনে চলতে শুরু করুন। দেখুন আপনার তিক্ত রবিবার মিষ্টি রবিবারে বদলায় কিনা।