কন্ডোম ব্যবহারে অনীহা পুরুষদের তুলনায় বেশি ভারতীয় মহিলাদের: ‘কন্ডোমোলজি’ সমীক্ষা
শারীরিক চাহিদা মেটাতে সেদিকে কর্ণপাত করতে মোটে রাজি নন একাংশ। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে, কন্ডোম নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কন্ডোম (Condom) ব্যবহারে অনীহা পুরুষদের চেয়ে বেশি ভারতীয় মহিলাদের মোটে পছন্দ করেন না ভারতীয় মহিলা পুরুষের একটা বিরাট অংশ। পুরুষরা যদিও বা একটু ব্যবহারে আগ্রহী হন, তার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি মহিলারা কন্ডোমবিমুখ। এমনই তথ্য উঠে এল ‘কন্ডোমোলজি’ সমীক্ষায় ( ‘Condomology report’)। ভারতে কন্ডোম (Condom) ব্যবহারে উৎসাহ একেবারে তলানিতে! যা দেখে হতাশ কন্ডোম (Condom) নির্মাতারা।
মানুষ কন্ডোম (Condom) ব্যবহারে কতটা সতর্ক তা জানার জন্য গোটা বিশ্বে ‘কন্ডোমোলজি’র সমীক্ষা ( ‘Condomology report’) চালানো হয়। কিন্তু, ভারতে আগে কোনও দিন এই সমীক্ষা করা হয়নি। চলতি বছরে ভারতে করা হয় ‘কনজিউমার, কন্ডোম অ্যান্ড সাইকোলজি’ সমীক্ষা। যা সংক্ষেপে ‘কন্ডোমোলজি’ ( ‘Condomology report’)। কন্ডোমের মার্কেটিং টিম ও তাঁদের বাজার করার জন্য সহযোগী কোম্পানিগুলি এই সমীক্ষা করে থাকে। সেই সমীক্ষার পরিসংখ্যানে মাথায় হাত উঠেছে কন্ডোম (Condom) নির্মাতাদের।
নতুন প্রজন্ম যাঁদের বয়স ২০ থেকে ২৮ বছর পর্যন্ত এবং যাঁরা নিয়মিত সঙ্গম করে থাকেন। তাঁরাই অংশগ্রহণ করেছিলেন এই সমীক্ষায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, ভারতে ৩ শতাংশ মহিলা কন্ডোম ব্যবহার করে থাকেন এবং তাঁরা ইচ্ছুক। কিন্তু ৯৭ শতাংশ মহিলা কন্ডোম ব্যবহার করতে চান না। অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে ৮৭ শতাংশের কন্ডোম ব্যবহারে অনীহা। তাঁরা নিজেদের শারারিক ক্ষমতার উপর নির্ভর করতে বিশ্বাসী। সমীক্ষায় এমনই অবাক করা তথ্য উঠে এসেছে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এড়াতে, সুস্থ যৌনস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কন্ডোম (Condom) ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ- কিন্তু শারীরিক চাহিদা মেটাতে সেদিকে কর্ণপাত করতে মোটে রাজি নন একাংশ। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে, কন্ডোম (Condom) নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে।
ভারতে কন্ডোম ব্যবহার করেন মাত্র ৫.৬ শতাংশ। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিয়ের আগে যাঁরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাঁদের মধ্যে ২৭ শতাংশ পুরুষ কন্ডোম (Condom) ব্যবহার করেন। আর মহিলাদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ তবে দীর্ঘ প্রচার চালানোর পর ও লকডাউনে কন্ডোম (Condom) বিক্রির হার বেড়েছে মাত্র ২ শতাংশ।