কেরলে 'বিনুনি-বিচ্ছেদ'

"আমার যেমন বেণী তেমনি রবে চুল ভিজিবে না"- এখন বেণী ভেজাবেন না শুকনো রাখবেন সেটা আপনার নিজের পছন্দ। কিন্তু প্রশ্ন হল বেণী মানে বিনুনিটা আদৌ করবেন কিনা? আগেকার দিনের মা-ঠাকুমারা বলতেন বিনুনি করলে নাকি চুল ভাল থাকে, গোড়া শক্ত হয় ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই বিনুনি নিয়েই চুলোচুলি বোঁধে গেল কেরলে। না আক্ষরিক অর্থে 'চুলোচুলি' নয়, তবে প্রায় সেরকমই।

Updated By: Aug 23, 2016, 12:38 PM IST
কেরলে 'বিনুনি-বিচ্ছেদ'

ওয়েব ডেস্ক: "আমার যেমন বেণী তেমনি রবে চুল ভিজিবে না"- এখন বেণী ভেজাবেন না শুকনো রাখবেন সেটা আপনার নিজের পছন্দ। কিন্তু প্রশ্ন হল বেণী মানে বিনুনিটা আদৌ করবেন কিনা? আগেকার দিনের মা-ঠাকুমারা বলতেন বিনুনি করলে নাকি চুল ভাল থাকে, গোড়া শক্ত হয় ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই বিনুনি নিয়েই চুলোচুলি বোঁধে গেল কেরলে। না আক্ষরিক অর্থে 'চুলোচুলি' নয়, তবে প্রায় সেরকমই।

আরও পড়ুন- ওষুধ থেকেই তৈরী হচ্ছে মারণ নেশা

কেরলের কিশোরীরা অনেক দিন ধরেই আর দু'দিকে বিনুনি ঝুলিয়ে স্কুলে যেতে চাইছেন না। অবশেষে তাদের নিষ্কৃতি মিলল বিনুনির বাঁধন (পড়ুন নাগপাশ) থেকে। কেরলের স্কুলছাত্রীরা বিনুনি বেঁধে স্কুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। আর এর মধ্যেই সেরাজ্যের কাসারকোদ চিমেনি উচ্চবিদ্যালয়ের ক্লাস টুয়েলভের এক ছাত্রী সাহস করে শিশু অধিকার কমিশনে আবেদন করে বসলেন যে সে বিনুনি বেঁধে স্কুলে যেতে চায় না, কারণ, বিনুনি বাঁধলে চুলের ক্ষতি হয়। ওই ছাত্রীর আরও বক্তব্য ছিল যে তাড়াহুড়োর সময় বিনুনি বেঁধে স্কুলে যেতে গেলে দেরি হয়ে যায়। কথায় বলে ভাগ্য সাহসীর সঙ্গে থাক। ছাত্রীর ওই আবেদন পেয়ে কেরলের শিশু অধিকার কমিশনের সভাপতিও বিষয়টিকে সহমরমিতার সঙ্গে ভেবে দেখেন ও ছাত্রীদের 'বিনুনি বিচ্ছেদের' পক্ষেই রায় দেন। এখন থেকে কেরলের ছাত্রীদের পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি করে চুল সামলে স্কুলে গেলেই চলবে। যাক বাবা বিনুনির ফাঁস থেকে মুক্তি পাওয়া গেল।

আরও পড়ুন- সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার গুণাগুণ

.