পুতুল না মমি! ৮৯ বছর ধরে আজও রহস্য ও কৌতুহলের কেন্দ্রে এই ম্যানিকুইন

দোকানের শো-কেসে ১৯৩০ সালের ২৫ মার্চ থেকে রয়েছে এই ম্যানিকুইনটি। এটির সঙ্গে জরিয়ে রয়েছে এক অদ্ভুত কাহিনি আর বিশ্বাস।

Updated By: Sep 3, 2019, 05:12 PM IST
পুতুল না মমি! ৮৯ বছর ধরে আজও রহস্য ও কৌতুহলের কেন্দ্রে এই ম্যানিকুইন

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিগত ৮৯ বছর ধরে একটি পোশাকের দোকানের দরজার পাশে কাঁচের ভেতর বিয়ের সাজে দাঁড়িয়ে রয়েছে অদ্ভুত সুন্দর একটি ম্যানিকুইন বা পুতুল। পোশাকের দোকানের সামনে বা বাইরে ম্যানিকুইন দাঁড় করিয়ে রাখাটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে এই ম্যানিকুইনটিকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে আশা হাজার হাজার পর্যটকের কৌতুহল যেন ফুরতেই চায় না! কারণ, এই ম্যানিকুইনটির ত্বক, নখ একেবারে জীবন্ত মানুষের মতোই। এটির সঙ্গে জরিয়ে রয়েছে এক অদ্ভুত কাহিনি আর বিশ্বাস। এই কাহিনি মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়ার বিখ্যাত পোশাকের দোকান ‘লা পাসকুয়ালিতা’-এর ম্যানিকুইনের।

এই দোকানের শো-কেসে ১৯৩০ সালের ২৫ মার্চ থেকে রয়েছে এই ম্যানিকুইনটি। শোনা যায়, ১৯৩০-এ ওই দোকানের তত্কালীন মালিক পাসকুয়ালা এসপারজা-এর সঙ্গে এই ম্যানিকুইনটির মুখের অবিকল মিল। জীবন্ত মানুষের মতোই অবিকল এই ম্যানিকুইনটির ত্বক, নখ, শিরা-উপশিরাগুলি। যে কারণে এটিকে নিয়ে মানুষের কৌতুহল আর কাহিনি যেন ফুরতে চায় না!

La Pascualita

স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, এটি মোটেই কোনও ম্যানিকুইন নয়। এটি আসলে এই দোকানের তত্কালীন মালিক পাসকুয়ালা এসপারজার মেয়ের মমি বা সংরক্ষিত মৃতদেহ। শোনা যায়, দোকানে এই ম্যানিকুইনটি বসানোর কিছু দিন আগেই বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল এসপারজার যুবতী মেয়ের। স্মৃতিকে আগলে বেঁচে থাকতেই তার পর মেয়ের দেহকে মমি বানিয়ে সংরক্ষণ করে রাখেন পাসকুয়ালা এসপারজা।

আরও পড়ুন: খুনের দায়ে একটা হাতিকে ফাঁসি দেওয়া হয় এখানে! ১০০ বছর পর এখনও এটাই এ শহরের পরিচয়

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস যা-ই হোক না কেন, মেয়ের দেহকে ম্যানিকুইন বানিয়ে দোকানে সংরক্ষণ করে রাখার বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করেছেন পাসকুয়ালা এসপারজা ও তাঁর স্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেক্সিকোর যা আবহাওয়া, তাতে এত দিন ধরে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। তবে ‘লা পাসকুয়ালিতা’-এর এই ম্যানিকুইনটি এতটাই নিখুঁত যে তা আজও অবাক করে হালফিলের তাবড় বিশেষজ্ঞ ও শিল্পীদের।

.