আঁতলামো নয়, মেয়েদের মন জয় করতে হাসাতে থাকুন

ভুলে যান গতে বাঁধা সব ফর্মুলা। চটকদার চেহারা, বা সারাক্ষণ চালাক, চালাক কথা। কাজে আসবে না কিছুই। তার চেয়ে কোনও মেয়ের হৃদয় জয় করতে চাইলে তাকে যত পারবেন তত বেশি হাসি-খুশি রাখুন। নয়া এক গবেষণা বলছে যখন দুই অপরিচিত নারী-পুরুষ প্রথমবার দেখা করেন, পুরুষটি সঙ্গিনীকে যত বেশি মজার কথা বলে হাসাতে পারবেন, তত বেশি বারবে পরবর্তী ডেটিংয়ের সম্ভাবনা। 

Updated By: Sep 7, 2015, 04:54 PM IST
 আঁতলামো নয়, মেয়েদের মন জয় করতে হাসাতে থাকুন

ওয়েব ডেস্ক: ভুলে যান গতে বাঁধা সব ফর্মুলা। চটকদার চেহারা, বা সারাক্ষণ চালাক, চালাক কথা। কাজে আসবে না কিছুই। তার চেয়ে কোনও মেয়ের হৃদয় জয় করতে চাইলে তাকে যত পারবেন তত বেশি হাসি-খুশি রাখুন। নয়া এক গবেষণা বলছে যখন দুই অপরিচিত নারী-পুরুষ প্রথমবার দেখা করেন, পুরুষটি সঙ্গিনীকে যত বেশি মজার কথা বলে হাসাতে পারবেন, তত বেশি বাড়বে পরর্বতী ডেটিংয়ের সম্ভাবনা।  

যদি, দু'জনেই প্রথম সাক্ষ্যাতের দিন প্রাণ খুলে হাসতে পারে তাহলে সম্পরকের রোম্যান্টিক পরিণতির সম্ভাবনা প্রবল। 

''রসবোধ আসলে এক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ক হিসেবে গণ্য হয়।'' জানিয়েছেন কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্যুউনিকেশন স্টাডিসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জেফেরি হল। 

তাঁর মতে ''যদি এমন কারোর সঙ্গে আপনার দেখা হয়, যার সঙ্গে আপনি দ্বিধাহীন ভাবে হাসতে পারেন, তার অর্থ সম্ভবত এই সম্পর্কের ভবিষ্যত মজা, খুশি আর আনন্দে ভরপুর।'' 

রোম্যান্টিক সম্পর্কে রসবোধের ভূমিকা কতটুকু? ছেলেরা কীভাবে রসবোধকে মেয়েদের ইম্প্রেস করতে কাজে লাগায়, আর মেয়েরাও কীভাবে সেই রসবোধের প্রতি আকৃষ্ট হয়? অনুসন্ধানে ৫১ জোড়া বিষমকামী অপরিচিত কলেজ পড়ুয়াদের উপর সমীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। 

প্রতি জোড়াকে ১০ মিনিট করে আলাদা সময় কাটাতে দেওয়া হয়েছিল। 

দেখা গেছে সেক্স নয়, একটি ছেলে একটি মেয়েকে ওই ১০ মিনিটে যত বেশি হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করেছে, মেয়েটি ছেলেটির প্রতি রোম্যন্টিকালি তত বেশি আকৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু উল্টোটা দেখা যায়নি। অর্থাৎ যদি মেয়েটি ছেলেটিকে হাসানোর চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে কিন্তু ছেলেটি মেয়েটির প্রতি আকৃষ্ট হয়নি। 

দেখা গেছে যদি দুজনেই এক সঙ্গে হাসিখুসি মুহূর্ত কাটায় তাহলে তাদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। 

কিছু ছেলেরা সচেতন ভাবেই এটাকে স্ট্রাটেজি হিসেবে কাজে লাগায়। 

মেয়েরা মনে করে হাসিখুশি ছেলেরা অনেক বেশি সামাজিক হয়। অন্যের কথাও তারা শোনে বেশি, গুরুত্বও দেয়। 

.