Mahashivratri Puja 2023: এসে গেল শিবরাত্রি! জেনে নিন বিশেষ এ তিথিতে কী করতেই হবে আর কী কিছুতেই করা চলবে না...
Mahashivratri Puja 2023: শিবরাত্রির রাত্রি শিবের তাণ্ডব-সময়? এমন একটা মত চালু আছে। তবে শাস্ত্রে এ-ও বলা হয়, শিবরাত্রি হল শিব-পার্বতীর বিবাহতিথি। দিনটি আসলে পুরুষ ও প্রকৃতির মিলনদিন। এদিন ভোরে উঠে স্নান এবং শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান সঙ্গে অবশ্যই উপবাস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিবরাত্রির রাত্রি আসলে শিবের তাণ্ডব-সময়? এমন একটা মত চালু আছে। পাশাপাশি বলা হয়, শিবরাত্রি আসলে শিব-পার্বতীর বিবাহতিথি। শাস্ত্র ব্যাখ্যাতারা বলে থাকেন, দিনটি পুরুষ ও প্রকৃতির মিলনদিন। জীবনের অন্ধকারকে জয় করে প্রজ্ঞা ও চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করার দিন এটি। শিবপুজোর বহিরঙ্গের মাধ্যমে একটা সুউচ্চ দর্শনের সাধনাই দিনটির উপজীব্য। শীত শেষ হয়ে বসন্তের শুরু। শীতের মধ্যে আছে জড়তার সংকেত, বসন্তে আতপ্ত মিলনের উদ্ভাস। দিকে দিকে রঙিন ফুলে ভরে যায় প্রকৃতি, দক্ষিণ সমীরণের উন্মাদনা কাঁপিয়ে দেয় অন্তর। ঠিক এমন এক সন্ধিমুহূর্তের প্রাকৃতিক পরিবেশে আসে শিবরাত্রির বিশেষ তিথি। প্রেম, শক্তি ও ঐক্যের মিলনের দিন এটি। মহাশিবরাত্রি তাই নানা ভাবে ছুঁয়ে যায় ভক্তকে।
এদিন কী কী করতেই হবে:
ভোরবেলা উঠে স্নান এবং শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান
অবশ্যই উপবাস এবং তা শুরু করতে হবে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রোচ্চারণ করে
এদিন শিবপুজোয় দিতেই হবে দুধ, ধুতুরা ফুল, বেলপাতা, চন্দন, দই, মধু, ঘি এবং চিনি
আরও পড়ুন: Maha Shivratri 2023: শিবরাত্রির দিনে কোন নিয়মে বেলপাতা নিবেদন করলে ভাগ্য ফিরবে?
এদিন কোনও ভাবেই কী কী করা চলবে না:
উপবাসকালে এদিন ভক্ত যেন চাল গম বা ডালশস্য থেকে তৈরি কোনও খাবার না খান
আমিষ খাবার গ্রহণ প্রায় নিষিদ্ধ। মাছ-মাংস তো নয়ই, এমনকী, পেঁয়াজ-রসুনও এদিন চলবে না।
শিবলিঙ্গে জল ঢলবেন তখন কোনওভাবেই তাতে নারকেলের জল মেশাবেন না
প্রত্যেকবারই শিবরাত্রির দিন-তিথি নিয়ে একটা ধন্দ তৈরি হয়। কেননা, শিবরাত্রির সঙ্গে নিশিপালনের ব্যাপার থাকে। কবে নিশিপালন এটা নিয়েই ধন্দ থাকে। এবারেও তাই ঘটেছে। শিবরাত্রি হল আসলে শিব চতুর্দশী। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার চতুর্দশী পড়ছে, চতুর্দশী শুরু হচ্ছে রাত ৮টে ২ মিনিটে। চতুর্দশী শেষ হচ্ছে পরের দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ৪টে ১৮ মিনিটে।
শিবরাত্রির পুজো রাত্রির চার প্রহরে চারবার করা হয়। প্রতিটি প্রহরই গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা সারা রাত জেগে চারপ্রহরই পুজো করতে পারেন না, তাঁদের অনেকেই প্রথম প্রহরের পুজোটুকু সেরে ব্রত ভঙ্গ করে নেন। অনেকে আবার সব প্রহরগুলিই নিষ্ঠাভরে পালন করেন।