স্বাধীনতার সেইসব স্মৃতিসৌধ
ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে সেইসব সৌধ যার প্রতিটি ইঁটে ছাপ রয়েছে সংগ্রামের রক্তের, লেখা রয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস। সেইসব সৌধ আজ পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ভারতের
ওয়েব ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে সেইসব সৌধ যার প্রতিটি ইঁটে ছাপ রয়েছে সংগ্রামের রক্তের, লেখা রয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস। সেইসব সৌধ আজ পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ভারতের
এমনই কিছু ঐতিহাসিক স্থান যেখানে যদি এতদিনেও না গিয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই যাওয়া উচিত্। জীবনে অন্তত এক বার।
লাল কেল্লা, দিল্লি
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট এখানেই উঠেছিল স্বাধীন ভারতের প্রথম পতাকা। প্রতিবছর লাল কেল্লায় ভারতের পতাকা তুলে স্বাধীনতার সকালের সূচনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
জালিয়ানওয়ালা বাগ, অমৃতসর, পঞ্জাব
১৯১৯ সালের নৃশংস জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি বহন করছে এই স্থান। দেওয়ালে এখনও স্পষ্ট গুলির দাগ। স্বর্ণ মন্দির বা দরবার সাহিবের পাশেই অবস্থান জালিয়ানওয়ালা বাগের।
ওয়াঘা বর্ডার, অমৃতসর, পঞ্জাব
অমৃতসর থেকে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড ধরে ২৮ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন ওয়াঘা বর্ডার। দেশের শরীরের এই অংশেই বসেছিল স্বাধীনতার ছুরি। এখনও টাটকা সেই ক্ষত।
ঝাঁসির রানির কিল্লা, উত্তর প্রদেশ
বাঙ্গিরা পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই কিল্লা থেকেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে স্বাধীনতার লড়াই করেছিলেন ঝাঁসির রানি লক্ষ্মী বাই।
সেলুলার জেল, পোর্ট ব্লেয়ার, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
এই জেল এখন জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। তবে এখনও জেলের দেওয়ালে প্রতিধ্বনিত হয় স্বাধীনতার অঙ্গীকার।
চন্দ্র শেখর আজাদ পার্ক, এলাহাবাদ, উত্তর প্রদেশ
কোম্পানি গার্ডেন বা আলরেড পার্কের নাম চন্দ্র শেখর আজাদ পার্ক। এইখানেই গুলিতে আত্মহত্যা করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদ। কখনও ব্রিটিশ সেনার হাতে ধরা না পড়ার সঙ্কল্প
করেছিলেন তিনি। তাই ধরা পড়ার আগের মুহূর্তে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।