Job Cuts: বোনাস বন্ধ-নিরাপত্তার নামগন্ধ নেই, এবার কর্মী ছাঁটাইয়েরও পথে অর্ধেকের বেশি সংস্থা!
সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি কায়িক শ্রমের বিকল্প হিসেবে মূলধন নিবিড় প্রকৌশলে জোর দিচ্ছে বড় সংস্থাগুলি। যার জেরে নতুন নিয়োগের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হবে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজনেস লিডারদের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: করোনার সঙ্কট এখনও কাটেনি। বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির কার্যত মুখ থুবড়ে পড়া হাল। এই অবস্থায় ব্যয়ে কাটছাঁট করে ধীরে ধীরে যখন সমস্ত কোম্পানিই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। বিশ্বজুড়ে প্রায় অর্ধেকের বেশি সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। PwC 'Pulse: Managing business risks-র চলতি বছরের সমীক্ষার রিপোর্টে এসেছে এমনই তথ্য। শুধু তাই নয়, পরিবর্তনশীল ব্যয় হ্রাস করতে কোম্পানিগুলি কর্মীদের বোনাস ও কর্মস্থলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে বলে জানা গিয়েছে।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে বাজার চাঙ্গা হচ্ছে। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, রান্নার গ্যাস সহ জ্বালানির অগ্নিমূল্যে জেরবার আমজনতা। বিগত দুই বছরে ক্রয়ক্ষমতাও বাড়েনি। উল্টে কোম্পানিগুলির এই সিদ্ধান্তে কপালে চিন্তার ভাঁজ সকলের। সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি কায়িক শ্রমের বিকল্প হিসেবে মূলধন নিবিড় প্রকৌশলে জোর দিচ্ছে বড় সংস্থাগুলি। যার জেরে নতুন নিয়োগের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হবে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজনেস লিডারদের।
আরও পড়ুন: 'কেষ্টা বেটাই চোর!', জন্মাষ্টমীতে আমূলের বিজ্ঞাপনে অনুব্রত প্রসঙ্গ
সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামিদিনে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও প্রবল হতে চলেছে। দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারলে তবেই পাকা হবে চাকরি। অর্থাৎ বিভিন্ন সংস্থায় বৈতনিক প্রশিক্ষণের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন ফ্রেশাররা। পরিসংখ্যানে স্পষ্টতই উল্লেখ করা গেছে, ৫০ শতাংশ কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে, এদিকে ৪৬ শতাংশ কোম্পানি কর্মীদের বোনাস বন্ধ বা কম বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। শতকরা ৪৪ কোম্পানি স্থায়ী কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক করার পরিকল্পনা নিতে চলেছে।
চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৩২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে উল্লেখ সমীক্ষার রিপোর্টে। তালিকায় রয়েছে মাইক্রোসফট, মেটার মতো বড় কোম্পানিও। ভারতেও সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। করোনার শুরুর দিকে প্রায় ২৫ হাজার স্টার্ট আপ কর্মী চাকরি খুঁইয়েছেন এ দেশে। চলতি বছরেও ১২ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন ভারতে। যে তিনটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা তা হল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা, মিডিয়া ও টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্র ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ক্ষেত্র। উল্লেখ্য, PwC 'Pulse: Managing business risks সমীক্ষাটি গত জুলাই মাসেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৭০০-রও বেশি কোম্পানির বোর্ড সদস্যদের মতামত নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)