ময়ূরকণ্ঠী মালদ্বীপ
ঠিক রূপকথার গল্পে যেমনটা দেখা যায়, তেমনই স্বর্গীয় রূপ আমাদের মনের ক্যানভাসে ধরা পড়ে যায়।
ঠিক রূপকথার গল্পে যেমনটা দেখা যায়, তেমনই স্বর্গীয় রূপ আমাদের মনের ক্যানভাসে ধরা পড়ে যায়। রূপকথার পাতা থেকে বাস্তবে নেমে আসা `মালদ্বীপ`। নীল আর সবুজের মেলবন্ধনে ডিম্বাকৃতির এই দ্বীপপুঞ্জ পর্যটকদের কাছে এখন `ট্রাভেলার্স প্যারাডাইস`। চারিদিকে নীল আর তারই মাঝে এক টুকরো সবুজ। দৈর্ঘে প্রস্থে তেমন বড়ো না হলেও অন্তরটা উদার। তাই তো দেশ বিদেশের নানান পর্যটকেরা ভির জমান প্রকৃতির স্নিগ্ধতা উপভোগ করতে।
মালদ্বীপ যেন এক টুকরো স্বপ্ন। আর অই স্বপ্নের যারা ফেরিওয়ালা তারা পর্যটকদের প্রতি অত্যন্ত নমনীয়। ওই ছোট্ট দ্বীপের বাসিন্দারা যেহেতু অনেকটাই পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল, তাই তাদের ব্যবহারে কখনো নিরাশ হবেন না। সমুদ্র সৈকতে অসংখ্য বিলাসবহূল `রিসর্ট` আছে। তাদের ব্যবস্থাপনাও অতুলনীয়। কিছু হোটেল আবার জলের মাঝেই অবস্থিত। তাই যেটুকু সময় ঘরে থাকবেন তখনও সমানভাবে উপভোগ করতে পারবেন। কোন আক্ষেপ তাহকবে না কিছু `মিস` করে যাওয়ার।
যদি হন 'ভোজন রসিক-বাঙালি-পর্যটক' তবে আর চিন্তা না করে প্লেন বা জাহাজে করে পাড়ি দিন স্বপ্নের মালদ্বীপে। ভারত মহাসাগরের বুকে এই দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীখ্যাত তার বিভিন্ন ধরণের `স্পেশাল রেসিপি`র জন্য। তাই মালদ্বীপের ভ্রমণে ভোজন কেন্দ্রিক কোন সমস্যা হবে না বললেই চলে। তবে খাওয়ার মধ্যে `কন্তিনেন্তাল` খাবারেরই বেশি প্রচলন। অন্যদিকে শরীরচর্চার পীঠস্থানও বলা হয় মালদ্বীপকে। বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম বা `স্পা`-এর সুব্যবস্থা মালদ্বীপের অন্যতম সম্পদ।
প্রায় ১১৯০টি দ্বীপের মধ্যে লোকজনের বসবাস মাত্র ২২০টি দ্বীপে। আর এইটুকুর মধ্যেই এই স্বর্গরাজ্যকে সাজিয়ে তুলেছেন বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে পরখ করে দেখে নিতে পারেন স্বর্গীয় সুখ।