Ramadan: রোজা অবশ্যপালনীয়, জেনে নিন কাদের জন্য এই উপবাসে রয়েছে ছাড়
Ramadan: প্রতিবছর রমজান রামাদান বা রামাজান এলেই খুশিতে দীপ্ত হয়ে ওঠে গোটা মুসলিম জনগোষ্ঠী। ইসলামিক ক্যালেন্ডারের নিরিখে নবম মাসটি হল রমজান মাস। এই মাসে রোজা রাখেন অনেকেই। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, বৃদ্ধের জন্য কি রোজা পালন করা জরুরি? জেনে নিন ....
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলছে ইসলামের পবিত্র রমজান মাস। শরীর এবং মনে শুদ্ধতা বৃদ্ধিতে এই মাসে উপবাসের নিয়ম রয়েছে। তাই মুসলিমদের অনেকেই রোজা পালন করছেন। সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনও খাবার বা এক ফোঁটা জলও খান না। সূর্যাস্তের পর ইফতার বা রোজা ভাঙা হয়। রোজা রাখলে, তার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে, অনেকেই মনে করেন রোজা রাখলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন হল, বৃদ্ধের বা অসুস্থের জন্য় কি এই রোজা পালন করা জরুরি?
আরও পড়ুন- Eye Health: জানেন, ডায়াবেটিস কেড়ে নিতে পারে দৃষ্টিও? দেখে নিন চোখের কোন সমস্য়ায় কী করবেন...
রমজান ইসলামিক ক্যালেন্ডারে নবম মাস। চাঁদের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে প্রতি বছর রমজানের তারিখ পড়ে। হাজার হাজার বছর ধরে এই মাসে রোজা পালিত হয়ে আসছে। তাই বলে রোজা শুধু একটি ধার্মিক বিষয় নয়। কারণ, শারীরিক অসুস্থতা থাকলে রোজা ভাঙা যায়। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে সামান্য় অসুখে রোজা ভেঙে ফেলা উচিত। রোজা পালনের সময় যদি কোনও রোগ বাড়ে তা হলে, রোজা পালন করার দরকার নেই। বা এমন বহু বৃদ্ধ আছেন যাঁরা রোজা রাখতে অক্ষম। তাঁদের ক্ষেত্রেও রোজার এই নিয়ম বাধ্যতামূলক নয়। আল্লাহতায়ালা মনে করেন যে নিজেদের ক্ষতি করা একেবারেই উচিত নয়। তাঁদের বিশ্বাস যে আল্লাহ তাঁদের প্রতি দয়ালু। সে জন্য়ই অতিশয় বৃদ্ধের জন্য রোজা পালন করা জরুরি নয়। কারও রোজা ভাঙলে, তার বদলে অন্য় কাউকে দিয়ে 'কাজা' আদায় করানো হয় বা ফিয়াদ দেওয়া হয়। এই বিষয় আল্লাহতায়ালা মনে করেন, শক্তিহীনদের কর্তব্য় হল ফিয়াদ দেওয়া এবং একজন মিসকিনকে অন্নদান করা।
আরও পড়ুন- Pradhan Mantri Shramyogi Mandhan Yojana: মাসে জমান মাত্র ৫৫ টাকা, প্রতি মাসে পেনশন পাবেন ৩০০০
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, উপোসের সময়ে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। টানা রোজা রাখলে শরীরের কোষে তৈরি হয় একটি অবস্থা। একে বলে অটোফেজি। কী এই অটোফেজি? খুব সহজ করে বললে, কোষের ভেতরে প্রতি নিয়ত জঞ্জাল জমতে শুরু করে। অটোফেজি দশায় কোষ সেই জঞ্জাল খেয়ে ফেলে শরীরকে দূষণমুক্ত করে।
সারাদিন যেহেতু না খেয়ে থাকতে হচ্ছে তাই রমজানের সময় উপোসের আগে ও পরের খাবারের প্রতি খেয়াল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজা ভাঙার পর এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যা থেকে শরীরে বল পাওয়া যায়। এমনকী উপোসের আগেও এমনই পুষ্টিকর খাদ্য় খাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এই পুষ্টিকর খাদ্য় তালিকায় আপনি রাখতে পারেন ফল, শস্য়, বাদাম, সবজি ইত্য়াদি।