Rare Yogas: বৈশাখী অমাবস্যার সঙ্গে সর্বার্থসিদ্ধি যোগ! জেনে নিন এর ফলে দারুণ কী শুভ ঘটতে চলেছে...
Sarvartha Siddhi Yoga and Vaishakha Amavasya:বৈশাখী অমাবস্যা। সঙ্গে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ। বছরে একাধিক সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ থাকে। প্রতিটিই মানবজীবনের পক্ষে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বুধবারেরটাও বিশেষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করলে পিতৃপুরুষেরা তৃপ্ত হন, এবং মুক্তিলাভ করেন। খুবই পবিত্র ও পুণ্য এই তিথি। এমনিতেই হিন্দুধর্মে অমাবস্যার অশেষ গুরুত্ব। নতুন বাংলা বছরের প্রথম অমাবস্যা আগামী ২০ এপ্রিল। এদিনে স্নান ও দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
সর্বার্থ সিদ্ধি যোগের দিন-তিথি
এবার বৈশাখ অমাবস্যা পড়ছে ১৯ এপ্রিল। তবে অমাবস্যা ২০ এপ্রিল সূর্যোদয়ের সময় উদযাপিত হবে। তবে এবারে এর সঙ্গে থাকছে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ। এই যোগ শুরু ১৮ এপ্রিলে, থাকছে আজ ১৯ এপ্রিল রাত ১টা পর্যন্ত। সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ থাকছে ২০ এপ্রিলেও। শেষ রাত ১১টা ১১ মিনিটে। এর পরেও অবশ্য এই যোগের দিন থাকছে।
আরও পড়ুন: আপনার কি শনি বক্রী? জেনে নিন এর বিশেষ প্রভাব, কোন রাশির পক্ষে তা কেমন...
সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে কী হয়
বিশ্বাস, এই যোগ এক ব্যক্তিকে নানা দিক থেকে সফল করে তোলে। কোনও ব্যক্তি যদি কোনও কর্মগত ত্রুটিতে ভোগেন, তবে এদিন তিনি তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ থাকায় ২০২৩ সাল সব দিক থেকেই আনন্দ ও সাফল্য নিয়ে আসবে বলেই জানিয়েছেন জ্য়োতিষবিদরা। ফলে চলতি বছর উন্নতি ও সমৃদ্ধির চূড়ান্তে পৌঁছবে। আর তার সুফল পাবেন সাধারণ মানুষও।
বৈশাখ অমাবস্যায় কী কী থেকে মুক্তি মিলবে
শনিদোষ, শনির সাড়ে সাতিয়া দোষ থেকে মুক্তি
এই দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নিলে শনির সাড়ে সাতিয়া বা শনি দোষ থেকে মুক্তি মেলে। এদিন শনিদেবের আরাধনা করলে তাঁর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এদিন মন্দিরে গিয়ে কালো তিল, সরিষার তেল, কালো বা নীল কাপড় নিবেদন করুন।
আরও পড়ুন: Solar Storm: বিপর্যয়! বৃহস্পতিবার বিশ্ব জুড়ে বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগ?
পিতৃদোষের প্রতিকার
কোনও ব্যক্তির পিতৃদোষ থাকলে তাঁর উন্নতি হয় না। তাই বৈশাখ অমাবস্যার দিনে পিতৃপুরুষদের জল নিবেদন করুন, পিণ্ডদান করুন। এতে পূর্বপুরুষ সন্তুষ্ট হন এবং তাদের বংশধরদের আশীর্বাদ করেন।
কালসর্প দোষের প্রতিকার
কালসর্প দোষ যে কোনও কাজে বাধা সৃষ্টি করে। সাফল্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বৈশাখ অমাবস্যার দিনে কালসর্প দোষের প্রতিকার ঘটে। এদিন স্নানের পরে সোনার সর্প-নাগিনীকে পুজো করার রীতি রয়েছে। এর পরে তাদের জলে প্রবাহিত হতে দিন। এছাড়াও কালসর্প দোষের শান্তির জন্য শিবের পুজো করুন। শিবপুজো করলে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।