Dhanteras 2021: জেনে নিন ধনতেরাসের শুভক্ষণ
হিন্দু শাস্ত্র মতে, ধনত্রয়োদশীর দিনে, দেবী লক্ষ্মী সাগর মন্থনের (দুগ্ধসাগর মন্থন) সময় সম্পদের দেবতা ভগবান কুবেরের সাথে সমুদ্র থেকে আবির্ভূত হন এবং তাই ত্রয়োদশীর শুভ দিনে দুজনের পূজা করা হয়। ধনতেরাসের দিনটিকে ধন্বন্তরী জয়ন্তী হিসেবেও পালন করা হয়, আয়ুর্বেদের ঈশ্বরের জন্মবার্ষিকী। কথিত আছে যে সাগর মন্থনের শেষের দিকে ভগবান ধন্বন্তরী আবির্ভূত হন যখন দেবতা এবং অসুররা অমরত্বের (অমৃত) সাথে সমুদ্র মন্থন করছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দু শাস্ত্র মতে, ধনত্রয়োদশীর দিনে, দেবী লক্ষ্মী সাগর মন্থনের (দুগ্ধসাগর মন্থন) সময় সম্পদের দেবতা ভগবান কুবেরের সাথে সমুদ্র থেকে আবির্ভূত হন এবং তাই ত্রয়োদশীর শুভ দিনে দুজনের পূজা করা হয়। ধনতেরাসের দিনটিকে ধন্বন্তরী জয়ন্তী হিসেবেও পালন করা হয়, আয়ুর্বেদের ঈশ্বরের জন্মবার্ষিকী। কথিত আছে যে সাগর মন্থনের শেষের দিকে ভগবান ধন্বন্তরী আবির্ভূত হন যখন দেবতা এবং অসুররা অমরত্বের (অমৃত) সাথে সমুদ্র মন্থন করছিলেন।
ধনতেরাস উৎসব পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পালন করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা মূলত এই দিন শুভ বলে মনে করেন। এই দিন শুভ মনে করা হয় বলে বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো করেন। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই দীপাবলী। হিন্দু ক্যালেন্ডারের অনুযায়ী, ৪ নভেম্বর ধনতেরাস। মূলত অবাঙালিদের মধ্যে এর প্রচলন থাকলেও এখন বাঙালিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই উৎসব। এই উৎসবে মূলত সোনা কেনা হয়। সোনা না কিনতে পারলেও যে-কোনও ধাতুই কেনাকে শুভ বলে মনে করা হয়।
কথিত আছে, রাজা হিমার ১৬ বছরের ছেলের এক অভিশাপ ছিল। তার কুষ্টিতে লেখা ছিল, বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। তার স্ত্রীও জানত সেই কথা। তাই সেই অভিশপ্ত দিনে সে তার স্বামীকে সে দিন ঘুমোতে দেয়নি। শোয়ার ঘরের বাইরে সে সমস্ত গয়না ও সোনা-রূপার মুদ্রা জড়ো করে রাখে। সেই সঙ্গে সারা ঘরে বাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সে সারারাত তাকে গল্প শোনায়, গান শোনায়। পরের দিন যখন মৃত্যুর দেবতা যম তাদের ঘরের দরজায় আসে, আলো আর গয়নার জৌলুসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোয়ার ঘর পর্যন্ত তিনি পৌঁছন ঠিকই। কিন্তু সোনার উপর বসে গল্প আর গান শুনেই তাঁর সময় কেটে যায়। সকালে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যান তিনি। রাজপুত্রের প্রাণ বেঁচে যায়। পরদিন সেই আনন্দে ধনতেরাস পালন শুরু হয়।
ধনতেরাসে, সন্ধ্যায় লক্ষ্মী পূজা করা হয় এবং মাটির প্রদীপ সারারাত জ্বালানো হয়। ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি প্রসাদ হিসেবে দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করা হয়। পূজার সময়, দেবী লক্ষ্মীর তিনটি রূপ - দেবী মহালক্ষ্মী, মহাকালী এবং দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। প্রভু কুবের ও গণেশেরও পুজো করা হয় এই দিনে।
এবার জেনে নিন পুজোর শুভক্ষণ:-
কলকাতা : সন্ধা ০.৫: ৪২ থেকে রাত ০৭:৩১
পুনে: সন্ধা ০.৬: ৪৭ থেকে রাত ০৮:৩২
নিউ দিল্লি: সন্ধা ০.৬: ১৭ থেকে রাত ০৮:১১
চেন্নাই: সন্ধা ০.৬: ২৯ থেকে রাত ০৮:১০
জয়পুর: সন্ধা ০.৬: ২৫ থেকে রাত ০৮:১৮
হায়দরাবাদ: সন্ধা ০.৬: ৩০ থেকে রাত ০৮:১৪
গুরগাঁও: সন্ধা ০.৬: ১৮ থেকে রাত ০৮:১২
চণ্ডিগড়: সন্ধা ০.৬: ১৪ থেকে রাত ০৮:০৯
মুম্বই: সন্ধা ০.৬: ৫০ থেকে রাত ০৮:৩৬
বেঙ্গালুরু: সন্ধা ০.৬: ৪০ থেকে রাত ০৮:২১
আমেদাবাদ: সন্ধা ০.৬: ৪৫ থেকে রাত ০৮:৩৪
নয়ডা: সন্ধা ০.৬: ১৬ থেকে রাত ০৮:১০