প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য সমুদ্রের মাঝেই ভেসে ওঠে রহস্যময় এই শিব মন্দির!

আরব সাগরের এক রহস্যময়  শিব মন্দির, যা প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য় ভেসে ওঠে সমুদ্রের মাঝে।

Edited By: সুখেন্দু সরকার | Updated By: Feb 21, 2020, 01:44 PM IST
প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য সমুদ্রের মাঝেই ভেসে ওঠে রহস্যময় এই শিব মন্দির!

নিজস্ব  প্রতিবেদন: সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক পীঠস্থান ভারতে অনেকসময়ই এমন ঘটনা ঘটে তা সত্যিই বিস্ময় জাগায়।তেমনি আরব সাগরের এক রহস্যময়  শিব মন্দির, যা প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য ভেসে ওঠে সমুদ্রের মাঝে।

শিব ঠাকুরকে সৃষ্টিকর্তাও বলা হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপেও ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় রূপ তা পরমেশ্বর- এর  প্রণাম মন্ত্রেই বার বার উঠে আসে। শিব মূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল তার তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, অস্ত্র ত্রিশূল ও বাদ্য ডমরু। শিবকে সাধারণত ‘শিবলিঙ্গ’ নামক বিমূর্ত প্রতীকে পুজো করা হয়। সমগ্র হিন্দু সমাজে শিব পুজোর প্রচলন লক্ষ করা যায়। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা,বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কিছু অংশেও শিব পুজোর ব্যাপক প্রচলন লক্ষিত হয়। সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্রসমূহে শিব পুজোকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক ফলপ্রদ বলে বর্ণনা করা হয়।

আরও পড়ুন:বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর মূর্তির ভিতরে ধ্যানস্থ ‘নরকঙ্কাল’! কঙ্কালের বয়স ১,০০০ বছর

তবে জানলে অবাক হবেন এমনই এক শিব মন্দির রয়েছে যা এই কলিযুগেও রহস্যময়। শিবের এই মন্দির গুজরাটের  ভব নগরের আরব সাগরের নীচে অবস্থিত। সমুদ্রতীর থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার গভীরে রয়েছে এই শিব মন্দির যা নিষ্কলঙ্কেশ্বর শিব মন্দির নামে পরিচিত। তবে যে কোনও সময় গেলে দেখা পাবেন না এই মন্দির। বিশেষ সময় ছাড়া দর্শনার্থীরা গেলে সেখানে সমুদ্রের জলরাশি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না। এই মন্দিরের রহস্য আজও অজানা। এমনকি সেখানে যে কোনও মন্দিরের অস্তিত্ব থাকতে পারে তাও বোঝা যায় না। শুধু দেখা যায় মন্দিরের চূড়ার পতাকা । দুপুর ১ টা থেকে রাত ১০টা অবধি দেখা মেলে এই মন্দিরের। পুজো হয় দেবাদিদেব মহাদেব এর।

অনেকে বলে থাকেন  এই মন্দির নির্মান করেছিলেন পঞ্চপাণ্ডবেরা। নিজেদের পাপ মোচন করার উদ্দেশ্যেই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন তারা এমনও প্রবাদ রয়েছে। এই মন্দিরের উচ্চতা ২০ ফুট। যা বিশেষ সময় ছাড়া সবসময়ই থাকে সাগরের নীচে। সময় হলে তবেই দেখা মেলে এই মন্দিরের। এই দৃশ্য দেখার জন্যই বহু দর্শনার্থী ভিড় করেন সমুদ্র তটে।  মনোষ্কামনা পূরণের আশায় এই মন্দিরে ভিড় জমান বহু পুণ্যার্থী।

.