বিয়ের পরই ওজন বেড়ে দফারফা ফিটনেসের! কেন?
বিয়ের পরই ওজন বেড়ে দফারফা ফিটনেসের? ঘাম ঝরাচ্ছেন, মেপে খাচ্ছেন, তবুও? শ্বশুরবাড়ির আদর? ভুল ভাবছেন। মানসিক চাপে ভুগছেন আপনার জীবনসঙ্গী। তাতেই মেদ বাড়ছে আপনার।
ওয়েব ডেস্ক : বিয়ের পরই ওজন বেড়ে দফারফা ফিটনেসের? ঘাম ঝরাচ্ছেন, মেপে খাচ্ছেন, তবুও? শ্বশুরবাড়ির আদর? ভুল ভাবছেন। মানসিক চাপে ভুগছেন আপনার জীবনসঙ্গী। তাতেই মেদ বাড়ছে আপনার।
দম লাগা কে হাইসা ছবিটা দেখেছেন নিশ্চয়ই। রোগা স্বামীর মোটা বউ। কেন? সে উত্তর নেই শরত্ কাটারিয়ার ছবিতে। ইয়েল স্কুল অফ পাবলিক হেলথ এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল রিসার্চের গবেষণায় মিলেছে সেই উত্তর। আপনার জীবনসঙ্গী যদি মানসিক চাপে ভোগেন, তাহলে ভোগান্তি আপনার। মেদ বাড়বে তরতরিয়ে। দাম্পত্য সুখী তো? জীবনসঙ্গীকে মন থেকে মেনে নিয়েছেন তো? নাহলেই সমস্যা। মেদ বাড়বে। বাড়বে ওজন। আর ওজন বাড়লে তো বিপদ মারাত্মক। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস।
ক্রনিক স্ট্রেসের উত্স কোথায়?
আর্থিক সমস্যা, কর্মস্থলে চাপ, দীর্ঘসময় আদর-ভালবাসা না পাওয়া। যার ফলে বাড়তে থাকে স্ট্রেস। তার প্রভাব পড়ে জীবনসঙ্গীর ওপর। মোটা হওয়ার প্রবণতা বিয়ের পর পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ১.৬গুণ বেশি। বিয়ের পর সেই সব পুরুষের কোমরের সাইজ ১০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যাঁদের স্ত্রীরা মানসিক চাপে ভোগেন কিন্তু তাঁদের বিয়ে নিয়ে কোনও অভিযোগ করেন না। এমনটাই দাবি গবেষকদের।
সমাধান কোথায়? গবেষকদের দাওয়াই, কোনও স্বামী-স্ত্রী যদি আলাদা আলাদা করে লক্ষ্য তৈরি করে সেটি পূরণের চেষ্টা করেন, তাহলেই বিপদ। একসঙ্গে লক্ষ্যপূরণ করতে হবে। রাস্তায় বেরিয়ে পাশাপাশি হাঁটতে হবে। নিজেদের মধ্যে কথা বলতে হবে। প্রতি রাতে খাওয়াদাওয়ার পর একসঙ্গে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।