১৫ জন মিলে রোজ ধর্ষণ নাবালিকাকে, অভিযুক্ত গুরুগ্রামের স্পা মালিক

তিনি কাজে আসা বন্ধ করে দিলেও, অভিযুক্তরা তার ছবি প্রচার করার হুমকি দেয় এবং তাকে একটি হোটেলে ডাকে। যেখানে তারা ওই কিশোরীকে মারধর করে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মেয়েটি তার অভিযোগে লিখেছে, ‘আমি আরও পাঁচ দিন স্পাতে যেতে বাধ্য হই। এই সময়ে আমায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন পুরুষ যৌন নির্যাতন করে’।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটি ১৪ বছর বয়সী নাবালিকাকে গুরুগ্রামের একটি স্পা-এর অপারেটর এবং তার সহযোগীরা যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই স্পা-তে কিশোরীটি রিসেপশনিস্ট হিসাবে কাজ করছিল বলে জানা গিয়েছে। কিশোরী জানিয়েছে, ‘আমাকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন পুরুষ ধর্ষণ করেছে’। বুধবার রাতে সেক্টর ৫১-র মহিলা থানায় স্পা অপারেটর, একজন মহিলা সহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে মেয়েটি প্রথমবার পুলিসের কাছে যাওয়ার পরে তাঁর মামলা খারিজ হয়ে যায়। কারণ সেই সময় তাকে মিথ্যা বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। নাবালিকা সেই সময় বলেছিল যে সে একজন অভিযুক্ত রুবেলের সঙ্গে প্রেম করছে এবং সে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরপরেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায় বলে পুলিস জানিয়েছে।

মেয়েটি বলে যে সে শহরের একজন মহিলার সঙ্গে দেখা করে। ওই মহিলা তাকে একজন আত্মীয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। মহিলা ওই কিশোরীকে তার ভাইয়ের স্পা-এ চাকরির সুযোগ করে দেয়। পুলিসের কাছে অভিযোগে, মেয়েটি বলেছে যে চাকরিতে তার প্রথম দিনে, স্পা অপারেটর তাকে জোর করে একটি ঘরে নিয়ে যায় যেখানে একজন লোক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিশোরী জানিয়েছে, ‘আমার অগ্নিপরীক্ষা আমার চাকরির প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছিল যখন তারা আমাকে জোর করে স্পায়ের একটি ঘরের ভিতরে পাঠিয়ে দেয় যেখানে একজন লোক আমাকে ধর্ষণ করে’।

কিশোরী আরও জানিয়েছে যে, ‘যখন আমি ছেড়ে দেবার হুমকি দিয়েছিলাম, তখন স্পা অপারেটর এবং তার সাহায্যকারীরা ওই ব্যক্তির কুকর্মের ভিডিও প্রচার করার হুমকি দেয় এবং আমায় চাকরি চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরের চার বা পাঁচ দিনের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুরুষ আমাকে স্পা-তে যৌন নিপীড়ন করে।

তিনি পুলিসের তাঁর অভিযোগে বলেন, তিনি কাজে আসা বন্ধ করে দিলেও, অভিযুক্তরা তার ছবি প্রচার করার হুমকি দেয় এবং তাকে একটি হোটেলে ডাকে। যেখানে তারা ওই কিশোরীকে মারধর করে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তার এবং তার অভিভাবকের জীবনের জন্য ভয় ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মেয়েটি তার অভিযোগে লিখেছে, ‘আমি আরও পাঁচ দিন স্পাতে যেতে বাধ্য হই। এই সময়ে আমায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন পুরুষ যৌন নির্যাতন করে’।