বুদ্ধ মন্দিরের ক্ষতি করতেই ১৩টি বিস্ফোরক

মহাবোধি মন্দিরে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও সালফার ছোট ছোট সিলিন্ডারে ভরে ব্যবহার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। সেই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যানালগ ঘড়ির সাহায্যে আইইডি-র অনুরূপ বিস্ফোরণই ঘটানো হয়েছে পবিত্র বুদ্ধ স্থলে।

Updated By: Jul 8, 2013, 07:12 PM IST

মহাবোধি মন্দিরে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও সালফার ছোট ছোট সিলিন্ডারে ভরে ব্যবহার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। সেই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যানালগ ঘড়ির সাহায্যে আইইডি-র অনুরূপ বিস্ফোরণই ঘটানো হয়েছে পবিত্র বুদ্ধ স্থলে।
প্রাচীন মন্দিরের ক্ষতি করাই ছিল নাশকতার উদ্দেশ্য। সেই প্রমাণও মিলেছে তদন্তে। মন্দিরের যাতে ব্যপক ক্ষতি হয়, সেই জন্য বিষ্ফোরক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, সালফার, পটাশিয়ামকে। ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী সিলিন্ডারগুলোতে ভরা হয় ওই বিস্ফোরক। রবিবার রাতেই বুদ্ধ গয়ায় পৌঁছয় এনএসজির তদন্তকারী দল। সমস্ত রকম তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘটনাস্থলেই থাকবেন বলে জানিয়েছে দিল্লি।
সোমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জানিয়েছেন বুদ্ধগয়ার ধারাবাহিক বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। এ দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে নীতিশ জানান ``বিহারে এই ধরনের নাশকতার ঘটনা প্রথম হল। এই ঘটনার সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তদন্ত হবে। এনআইএ তাদের তদন্ত শেষ করলেই দুষ্কৃতীরা কড়া শাস্তি পাবে।``
বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করলেন গোয়েন্দারা। ফুটেজে বিস্ফোরণের ছবি মিলেছে। জানা গেছে মোট ১০টি বিস্ফোরণ হয়েছে। মন্দিরের ১৩টি জায়গায় আলাদা আলাদা করে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। তবে সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা যায়নি বলে সূত্রের খবর। সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস। বিনোদ মিস্ত্রি নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সূত্র পেতে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। ঘটনাস্থলের কাছ থেকে বিনোদ মিস্ত্রির পরিচয়পত্র উদ্ধার করে পুলিস। গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনার তদন্তে বুদ্ধগয়ায় পৌঁছয় এনআইএ দল। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। তবে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পর বৃষ্টি হওয়ায় অনেক তথ্যপ্রমাণই ধুয়ে গিয়েছে।
বুদ্ধগয়ায় নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম আনওয়ার হুসেন মল্লিক। গতকালই বিবাদী বাগ থেকে ধরা হয় আনওয়ারকে। ধৃতের কাছ থেকে ১.৯ লক্ষ নকল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ এই আনওয়ারই ২০১০-এ জার্মান বেকারি বিস্ফোরণের বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল। গতকালের বিস্ফোরণের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে। আজ লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি ও বিহার কংগ্রেস নীতিশ কুমার সরকারের বিরোধিতা করে মগধে বনধ ডেকেছে।

.