মুম্বই বিস্ফোরণে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, জানাল এটিএস
দেশের বাণিজ্য রাজধানীর গত বছরের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তের কিনারা করেছে মুম্বই পুলিসের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়্যাড (এটিএস)। এটিএস প্রধান রাকেশ মারিয়ার দাবি, জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন(আইএম) এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
দেশের বাণিজ্য রাজধানীর গত বছরের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তের কিনারা করেছে মুম্বই পুলিসের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়্যাড (এটিএস)। সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন এটিএস প্রধান রাকেশ মারিয়া। ১৯৮১ সালের ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার জানিয়েছেন, ১৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে, ১৮টি অভিযান চালিয়ে নানা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পর এই বিস্ফোরণকাণ্ডের কুশীলবদের পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হয়েছে এটিএস তদন্তকারী দল।
২০১১ সালের ১৩ জুলাই সন্ধেতে মুম্বইয়ের ব্যস্ত জাভেরি বাজার, অপেরা হাউস এবং দাদারের কবুতর খানা এলাকায় তিনটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ২৭ জন। এটিএস প্রধানের দাবি, জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন(আইএম) এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। নাশকতার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আইএম কম্যান্ডার ইয়াসিন ভাটকলের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। মারিয়ার দাবি, মুম্বই কাণ্ডে ধৃত বিহারের দুই বাসিন্দা নাকি আহমেদ ওয়াসি আহমেদ শেখ ও নাদিম আখতার এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল।
নাশকতার `পারিশ্রমিক` হিসেবে নাকি আহমেদকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছিল ভাটকল। দিয়েছিল, নাশকতায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও টিএনটি এবং ডিটোনেটর। সরাসরি নাশকতায় জড়িত না থাকলেও আইএম জঙ্গিদের অর্থসাহায্য করার অভিযোগে হারুন ইয়াসিন মালিক নামেও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এটিএস।
বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহারের জন্য একটি স্কুটার চুরি করেছিল নাকি আহমেদ ও নাদিম। সেই স্কুটারটিও উদ্ধার করেছে এটিএস। তবে লস্কর-ই-তৈবার ঘনিষ্ঠ ইয়াসিন ভাটকল-সহ তিন জন এখনও ফেরার। প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি হাইকোর্টের বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রধান নেপথ্যচক্রী হিসেবেও ভাটকলকে চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিস।