চোখরাঙানির সামনেও হার মানল না দিল্লি

নজিরবিহীন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বন্দি করেও বিক্ষোভ আটকানো গেল না দিল্লিতে। ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই বিক্ষোভ হয় যন্তরমন্তরের সামনে। বিভিন্ন রাস্তায় অস্থায়ী ব্যারিকেডকে উপেক্ষা করেই বিক্ষোভকারীরা যন্তরমন্তরে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রধানমন্ত্রীর আবেদন যে কোনও কাজে আসেনি, সন্ধায় তা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের পর আজ বিক্ষোভ হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের বাসভবনের সামনে। যদিও এই বিক্ষোভকে কড়া হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি থেকেছে হুঁশিয়ারিতেই। সমস্ত হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করেই সুশীলকুমার শিন্ডের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে সরকারের কাছে আরও অস্বস্তির বার্তা পৌঁছে দিল বিক্ষোভকারীরা।

Updated By: Dec 24, 2012, 10:58 AM IST

নজিরবিহীন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বন্দি করেও বিক্ষোভ আটকানো গেল না দিল্লিতে। ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই বিক্ষোভ হয় যন্তরমন্তরের সামনে। বিভিন্ন রাস্তায় অস্থায়ী ব্যারিকেডকে উপেক্ষা করেই বিক্ষোভকারীরা যন্তরমন্তরে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রধানমন্ত্রীর আবেদন যে কোনও কাজে আসেনি, সন্ধায় তা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের পর আজ বিক্ষোভ হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের বাসভবনের সামনে। যদিও এই বিক্ষোভকে কড়া হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি থেকেছে হুঁশিয়ারিতেই। সমস্ত হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করেই সুশীলকুমার শিন্ডের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে সরকারের কাছে আরও অস্বস্তির বার্তা পৌঁছে দিল বিক্ষোভকারীরা।
দিল্লি গণধর্ষণকে কেন্দ্র করে গত দু'দিনের তুমুল বিক্ষোভের পর আজ সকাল থেকে গোটা ইন্ডিয়া গেট চত্বরে ব্যারিকেড তৈরি করে দিল্লি পুলিস। ইন্ডিয়া গেট, রাজপথ, বিজয় চক, রাইসিনা হিল অঞ্চলকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢেকে ফেলা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী। জারি রয়েছে ১৪৪ধারা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গেই প্রচারমাধ্যমকেও ওই অঞ্চলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাধা দেওয়া হয়েছে প্রাতঃভ্রমণকারীদেরও।  
নিরাপত্তার স্বার্থে রবিবারের মত আজকেও দিল্লিতে ৯টি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল ইন্ডিয়াগেট চত্বরে গণধর্ষণের প্রতিবাদ বিক্ষোভে দফায় দফায় জনতার সঙ্গে পুলিসের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিস আন্দোলনকারীদের উপর জলকামান, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করলে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় গোটা ইন্ডিয়াগেট চত্বর। একজন পুলিস কর্মীসহ ১৪০ জন গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি সামলাতে সামগ্রিক ভাবেই ব্যর্থ হয় দিল্লি পুলিস।

.