বেনজির নিরাপত্তায় শেষ হল বিহারের পাঁচ দফা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট, ভোটদানের হার ৫৭%
শুরু হয়ে গেল পাটনার মসনদ দখলের লড়াই। বেনজির নিরাপত্তায় শেষ হল বিহারের পাঁচ দফা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। সোমবার যে সব কেন্দ্রে ভোট ছিল তার বেশ কিছু এলাকা মাওবাদী অধ্যুষিত। ওই সব জায়গায় ভোটগ্রহণ হয় বেলা তিনটে পর্যন্ত। তবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্ত্বেও নির্বাচনী হিংসা পুরোপুরি এড়ানো যায়নি।
ওয়েব ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল পাটনার মসনদ দখলের লড়াই। বেনজির নিরাপত্তায় শেষ হল বিহারের পাঁচ দফা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। সোমবার যে সব কেন্দ্রে ভোট ছিল তার বেশ কিছু এলাকা মাওবাদী অধ্যুষিত। ওই সব জায়গায় ভোটগ্রহণ হয় বেলা তিনটে পর্যন্ত। তবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্ত্বেও নির্বাচনী হিংসা পুরোপুরি এড়ানো যায়নি।
কোন পথে দেশ? কী রায় দেবে বিহার? এই প্রশ্ন ঘিরেই গত কয়েকমাস ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের রাজনীতি। যার কেন্দ্রে অবশ্যই পাটনার মসনদের লড়াই। অবশেষে সেই লড়াই শুরু হয়ে গেল সোমবার। পাঁচ দফায় বিহার ভোটের প্রথম দফায় এদিন ভোট ছিল ১০ জেলার ৪৯টি বিধানসভা আসনে।প্রথম দফায় মোট ভোটার ছিলেন ৭৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৪৯ জন। মোট ১৩ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ৫৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেন সেই ভোটাররা। সকাল সাতটা থেকে কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যায়।
সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে বিহারের মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। সোমবারের ভোট ছিল জামুই, মুঙ্গের, লখিসরাই, বাঁকা, ভাগলপুর সহ দশটি জেলায়। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা মাওবাদী অধ্যুষিত। ফলে ওই সব এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। মাওবাদী এলাকাগুলি ছাড়াও সর্বত্রই বেনজির নিরাপত্তার সাক্ষী হয় লালু-নীতীশের রাজ্য। তবে যাবতীয় নিরাপত্তার মাঝেও বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর পাওয়া মিলেছে।
জামুইয়ে লোক জনশক্তি পার্টির প্রার্থী বিজয় কুমারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ওই জেলারই ১৫৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণের সময় লালু-নীতীশের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এনডিএর কর্মী সমর্থকরা।