জন্মাষ্টমীতে ঈদগাহে প্রার্থনার দাবি, এবিএইচএম নেতার রক্তে লেখা চিঠি যোগীকে
কৃষ্ণ জন্মভূমি এবং শাহী ইদগাহ বিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক মামলা চলছে এই সময়। এর মাঝেই এবিএইচএম সদস্যের চিঠিটি এসেছে। আদালতে হিন্দু পিটিশনকারীরা দাবি করেছে যে মসজিদটি কাটরা কেশব দেব মন্দিরের একটি প্লটে নির্মিত হয়েছে এবং এটি অপসারণ করা উচিত। মুসলিম পক্ষ এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার (ABHM) এক কোষাধ্যক্ষ দীনেশ শর্মা মঙ্গলবার চিঠি লিখেছেন যোগীকে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রক্ত দিয়ে এই চিঠি লিখেছেন তিনি। চিঠিতে তিনি শাহী মসজিদ ইদগাহের ভিতরে জন্মাষ্টমীর প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়ে দাবি করেছেন যে এটি কৃষ্ণর জন্মস্থান। এবিএইচএম-এর জাতীয় কোষাধ্যক্ষ বলেছেন যে তিনি ১৯ অগস্ট শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে স্থানীয় ব্রিজবাসীদের সঙ্গে দেবতার কাছে প্রার্থনা করতে চান কারণ দেবতার আসল জন্মস্থান মসজিদের নীচে, যা শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমির সঙ্গে একটি প্রাচীর দিয়ে আলাদা করা। চিঠিতে শর্মা আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হলেন ভগবান হনুমানের অবতার এবং একমাত্র তিনি প্রকৃত জন্মস্থানে ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনার অনুমতি দিতে সক্ষম। যদি মুখ্যমন্ত্রী আমার দাবিতে রাজি না হন, তবে তার উচিত 'ইচ্ছা মৃত্যু'-র অনুমতি দেওয়া’।
চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘জন্মাষ্টমীতে, ব্রিজবাসীরা (মথুরার বাসিন্দারা) ভগবান কৃষ্ণর কাছে তাঁর প্রকৃত জন্মস্থানে প্রার্থনা করতে চান। এখানে বর্তমানে শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমিতে প্রার্থনা করা হয় না। কৃষ্ণের প্রকৃত জন্মস্থানটি ছিল কংসের কারাগারে, যা বর্তমান শাহী ঈদগাহ মসজিদের নীচে রয়েছে যা মূলত ভগবান কৃষ্ণের জন্মের জায়গায় নির্মিত মন্দিরটি ভেঙে দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল’।
কৃষ্ণ জন্মভূমি এবং শাহী ইদগাহ বিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক মামলা চলছে এই সময়। এর মাঝেই এবিএইচএম সদস্যের চিঠিটি এসেছে। আদালতে হিন্দু পিটিশনকারীরা দাবি করেছে যে মসজিদটি কাটরা কেশব দেব মন্দিরের একটি প্লটে নির্মিত হয়েছে এবং এটি অপসারণ করা উচিত।
মুসলিম পক্ষ এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে। শর্মা তার চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত, কৃষ্ণের উপাসনা এমন একটি জায়গায় করা হচ্ছে যা তাঁর সঠিক জন্মস্থান নয়’। মিডিয়াকেও তিনি এই কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Kerala Court: উত্তেজক পোশাক পরলে মেয়েদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তোলা অর্থহীন: আদালত
কৃষ্ণের জন্মস্থানটি শাহী মসজিদ ইদগাহের নিচে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আদিত্যনাথকে ‘হিন্দু ভগবান হনুমানের অবতার’ বলে অভিহিত করেছেন শর্মা। তিনি বলেছিলেন যে তিনি নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রী তাকে মসজিদের ভিতরে উপাসনা করার অনুমতি দেবেন।
শর্মা বলেন, যদি তাঁর অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়, তাহলে তাঁকে মরতে দেওয়া উচিত কারণ ‘ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থানে তাঁকে প্রণাম না করে জীবন যাপন করা মূল্যহীন’। এর আগে আদালতে জমা দেওয়া একই রকম একটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় ২০২২ সালের ৩ অগস্ট।
শর্মা ১৮ মে সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) জ্যোতি সিং-এর আদালতে শাহী মসজিদ ইদগাহের ভিতরে লাড্ডু গোপাল (বাল কৃষ্ণ) এর জলাভিষেক করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ জানিয়ে একটি আবেদন জমা দেন।