জম্মু-কাশ্মীরে উদ্ধার ১ লক্ষের উপর মানুষ, আশায় বুক বাঁধছে পরিবার
একটা বাস আসলেই ছুটে আসছেন। আকাশে হেলিকপ্টার দেখলেই মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে আশা। নিশ্চয়ই যার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, ফিরে এসেছেন তিনি। কোনও কোনওক্ষেত্রে পেয়েও যাচ্ছেন আত্মীয়দের। আবার হতাশ মুখের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বন্যাবিধ্বস্ত জম্মু-কাশ্মীরের ত্রাণশিবিরগুলির ছবি এখন এরকমই। জোরদমে চলছে উদ্ধারকাজ। শ্রীনগরে নৌসেনার মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে খাবার, পানীয় জন, কম্বল। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ।
ওয়েব ডেস্ক: একটা বাস আসলেই ছুটে আসছেন। আকাশে হেলিকপ্টার দেখলেই মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে আশা। নিশ্চয়ই যার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, ফিরে এসেছেন তিনি। কোনও কোনওক্ষেত্রে পেয়েও যাচ্ছেন আত্মীয়দের। আবার হতাশ মুখের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বন্যাবিধ্বস্ত জম্মু-কাশ্মীরের ত্রাণশিবিরগুলির ছবি এখন এরকমই। জোরদমে চলছে উদ্ধারকাজ। শ্রীনগরে নৌসেনার মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে খাবার, পানীয় জন, কম্বল। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ।
এখনও পর্যন্ত বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের। এর মধ্য জম্মতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জম্মুতে ৯০০০ ও শ্রীনগরে ২১,০০০ সেনা নামানো হয়েছে। এই পর্যন্ত ত্রাণ শিবিরে ২,২৪,০০০ লিটার জল ও ৩১,৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৮,২০০টি কম্বল, ৬৫টি তাবু।
বন্যদুর্গত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে টেলিকমিউনিকেশন সংস্থাগুলি। এয়ারটেল, রিলায়েন্স কমিউনিকেশন, এয়ারসেল ও ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড জম্মু, কার্গিল, লাদাখ ও লেতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ করছে। রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলিও চার্টার্ড বিমানে মাধ্যমে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছে। এর মধ্য রয়েছে জেট এয়ারওয়েজ, গোএয়ার, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট ও এয়ার ইন্ডিয়া। অবন্তীপুর, পট্টন, অনন্তনাগ ও পুরনো এয়ারফিল্ডে মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। চিকিত্সা চলছে ২১,৫০০ রোগীর।
বিধ্বংসী বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সবকিছু। সব হারিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ আজ কার্যত পথে দাঁড়িয়েছেন। উদ্ধারের পরও তাঁদের পাশে রয়েছে সেনা। কিন্তু, কতটা এগিয়ে এসেছে ওমর আবদুল্লা সরকার? ক্ষোভ দানা বেঁধেছে দুর্গতদের মধ্যে।