লোকসভাতেও চা-বাগানের দুরবস্থার কথা তুললেন অধীর চৌধুরী
তিন মাসে একশো ছয়। মৃত্যু-মিছিল উত্তরবঙ্গে চা- বাগানগুলিতে। শুধু বাগানের নামটাই যা আলাদা। দুরবস্থার ছবি এক। আজও বীরপাড়ায় গেরগেন্ডা চা-বাগানে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, অপুষ্টির কারণেই এই মৃত্যু। আজ লোকসভাতেও চা-বাগানের দুরবস্থার ইস্যুটি তোলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী।
ওয়েব ডেস্ক: তিন মাসে একশো ছয়। মৃত্যু-মিছিল উত্তরবঙ্গে চা- বাগানগুলিতে। শুধু বাগানের নামটাই যা আলাদা। দুরবস্থার ছবি এক। আজও বীরপাড়ায় গেরগেন্ডা চা-বাগানে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, অপুষ্টির কারণেই এই মৃত্যু। আজ লোকসভাতেও চা-বাগানের দুরবস্থার ইস্যুটি তোলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী।
শশ্মানের স্তব্ধতা চারদিকে। কাজ নেই। খাবার নেই। চিকিত্সা, তারও সুযোগ নেই। উত্তরবঙ্গের চা-বাগানগুলি যেন নেই রাজ্য । মৃত্যু, প্রায় রোজকার ব্যাপার। কান্নার রোল বাড়িতে বাড়িতে।
মাত্র তিন মাসেই একশো পেরিয়ে গেছে মৃতের সংখ্যা। রোজই তা বাড়ছে। আরও বাড়ছে।
মঙ্গলবারও বীরপাড়ার গেরগেন্ডা চা বাগানে মৃত্যু হয়েছে কাঞ্চা বিশ্বকর্মা নামে এক শ্রমিকের। অপুষ্টিতেই এই মৃত্যু, দাবি পরিবারের।
শুধু আলিপুরদুয়ারেই মৃতের সংখ্যা ষাটের কাছাকাছি। বাগরাকোটে উনত্রিশ, রেডব্যাঙ্ক চা বাগানে আট, ধরণীপুর, সুরেন্দ্রনগরে মৃতের সংখ্যা চার করে।
ধুমচিপাড়ায় সংখ্যাটা আরও বেশি,...বাইশ। ডিমডিমা, বীরপাড়া, তুলসিপাড়া, পানিঘাটা...আলাদা আলাদা চা বাগান। কিন্তু এক ছবি। সেই মৃত্যু মিছিল।
এই দুর্দশা, দুরবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন শ্রমিকরা। রিলে অনশন হয়েছে। মঙ্গলবার ছিল ধর্মঘটের পালা। প্রায় আড়াইশোটি চা-বাগানে, বারো ঘণ্টার এই ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কার্শিয়াং শহরে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। নেতারা আসেন। দেখেন-শোনেন। কখনও কখনও খাবার-ওষুধ বিলিও হয়। ব্যস, ওই পর্যন্তই।
অবস্থা বদলায় না এই শ্রমিকরদের। সরকার অপুষ্টিতে মৃত্যুর অভিযোগ মানতে নারাজ। মানতে হবে, এই দাবিতে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। চলছে চাপান উতোর। কিন্তু চা-শ্রমিকদের দুর্দশার শেষ নেই।