আফগানিস্তান পুনর্গঠনে দায়িত্ব নেবে ভারত

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান পুনর্গঠনে ভারতের দায়িত্বের কথা আরও একবার মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গতকাল, আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আফগান জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দিল্লি কাবুলের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আফগানিস্তান পুনর্গঠনে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হামিদ কারজাইও। গতকাল দু`দেশের মধ্যে চারটি মউ স্বাক্ষরিত হয়।

Updated By: Nov 13, 2012, 09:59 AM IST

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান পুনর্গঠনে ভারতের দায়িত্বের কথা আরও একবার মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গতকাল, আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আফগান জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দিল্লি কাবুলের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আফগানিস্তান পুনর্গঠনে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হামিদ কারজাইও। গতকাল দু`দেশের মধ্যে চারটি মউ স্বাক্ষরিত হয়।   
আফগানিস্তান পুনর্গঠনে দিল্লির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকা একেবারেই না পসন্দ ইসলামাবাদের। কিন্তু, ভারতকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে থাকলে যে কাজের কাজ কিছু হবে না, তা ভালোই বোঝেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। দিল্লিও চায় আমেরিকার আফ-পাক নীতিতে আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা গুরুত্ব পাক। এই পরিস্থিতিতেই সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করতে ভারতে এসেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট। সোমবার, তাঁর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সন্ত্রাস দমনে এবং আফগানিস্তান পুনর্গঠনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
আফগানিস্তানে ভারতীয় বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছেন হামিদ কারজাই। দু`দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়নে জোর দেন তিনি।
আর্থিক বিষয়ে দুদেশের সমঝোতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সহমত হয়েছে দিল্লি ও কাবুল। এদিন খনি, সার, ছোট আকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও যুবকল্যাণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে চারটি মউ সই হয়। সোমবার, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। 

.