দিল্লিতে ফের বর্ণবৈষম্যের শিকার উত্তর-পূর্বের দুই বাসিন্দা, নাগাল্যান্ডের দুই যুবককে বেধরক মারধর
রাজধানীতে ফের বর্ণবৈষ্যমের শিকার উত্তর-পূর্বের দুই যুবক। গুরগাঁওয়ের সিকান্দারপুরে সাতজনের একটি দল ব্যাট ও লাঠি হাতে আক্রমণ করে নাগাল্যান্ডের ওই দুই অধিবাসীর উপর। চলে লাঞ্ছনাও।
ওয়েব ডেস্ক: রাজধানীতে ফের বর্ণবৈষ্যমের শিকার উত্তর-পূর্বের দুই যুবক। গুরগাঁওয়ের সিকান্দারপুরে সাতজনের একটি দল ব্যাট ও লাঠি হাতে আক্রমণ করে নাগাল্যান্ডের ওই দুই অধিবাসীর উপর। চলে লাঞ্ছনাও।
একটি বহুল প্রচলিত সংবাদ চ্যানেলের খবর অনুযায়ী বর্ণবিদ্বেষের জন্যই এই আক্রমণ। লাঠি ও ব্যাট দিয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ চালানো হয়। আক্রান্ত দুই যুবক জানিয়েছেন আক্রমণকারীরা তাঁদের মারতে মারতে বারবার বলে ''তোমাদের উত্তরপূর্বের লোকজনদের বল তারা যেন সিকান্দারপুর ছেড়ে চলে যায়।'' একজন আক্রান্ত জানিয়েছেন ''ওরা বলছিল আমরা যদি মণিপুরের হতাম তাহলে ওরা আমাদের খুন করত।''
কিছুদিন আগেই কানাড়া না বলার 'অপরাধে' বেঙ্গালুরুতে মণিপুরের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে মারধর করে একদল গুণ্ডা।
দিল্লির ঘটনার বিস্তারিত খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। চলটি বছরে দিল্লিতেই অরুণাচল প্রদেশের ছাত্র নিদো তানিয়াম বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। সারা দেশ জুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যে একটুও বদলায়নি তার প্রমাণ পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারি মাসেই। দক্ষিণ দিল্লিতে নিগ্রহের শিকার হন দুই মণিপুরি যুবতী। মে মাসে দিল্লি মেট্রো স্টেশনে শ্লীলতাহানি করা হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর।
জুলাই মাসে গুরগাঁওতে উত্তর পূর্বের এক দম্পতিকে আক্রমণ করে চার ব্যক্তি।
সিকান্দারপুরের ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল দিল্লি বাসীরা ভিন্ন প্রদেশের মানুষদের প্রতি এখনও বৈষম্যমূলক আচরণ চালিয়েই যাচ্ছে।