শেষ দেখা হল না আফজলের পরিবারের, কারফিউতে স্তব্ধ কাশ্মীর
তিহারের বন্ধ দরজার আড়ালে গতকাল আফজল গুরুর ফাঁসির পর এখন সরকার ও তাঁর পরিবারের মধ্যে শুধুই তোপ দাগার পালা। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে আফজলের ফাঁসির কথা আগেই জানানো হয়েছিল তাঁর পরিবারকে। অন্যদিকে সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ গুরুর পরিবার।
তিহারের বন্ধ দরজার আড়ালে গতকাল আফজল গুরুর ফাঁসির পর এখন সরকার ও তাঁর পরিবারের মধ্যে শুধুই তোপ দাগার পালা। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে আফজলের ফাঁসির কথা আগেই জানানো হয়েছিল তাঁর পরিবারকে। অন্যদিকে সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ গুরুর পরিবার।
আফজল গুরুর ভাইপো মহম্মদ ইয়াসিন গুরু জানিয়েছেন, তাঁরা সংবাদমধ্যমের কাছে থেকেই ফাঁসির খবর পান। শ্রীনগরের শোপর গ্রামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "সরকারের তরফে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।" তিনি আরও বলেন, "মানবতার খাতিরে অন্তত পরিবারের সঙ্গে গুরুর কথা বলানো উচিৎ ছিল, তাঁর কোনও শেষ ইচ্ছা ছিল কি না তাও জানা হল না।" এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য সরকার পক্ষকেই দায়ী করেছে আফজলের পরিবার।
২০০১-এ সংসদ হামলায় দোষী সব্যস্ত আফজল গুরুকে গতকাল তিহারে ফাঁসি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর কে সিং সংক্ষেপে জানান, কাশ্মীরের এক উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিক স্পিড পোস্টে তাঁর পরিবারকে আফজলের ফাঁসির খবর জানান। চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করা হয়েছিল বলে দাবি করেন সিং।
রবিবারেও কারফিউ জারি রয়েছে কাশ্মীর উপত্যাকায়। আফজলের ফাঁসির এক দিন কেটে গেলেও এখনও থমথমে কাশ্মীরে জনজীবন। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল বেশ কয়েকটি জায়গায় কারফিউ লঙ্ঘন হওয়ার জেরে আজ সকাল থেকে পাহাড়ের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে নতুন করে পাহাড়ে কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
কার্ফুর দ্বিতীয় দিনেও উপত্যাকায় মোবাইল পরিষেবা ও খবর চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার পাহাড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন আহত হন। গতকাল সকাল ৮টা। কাক-পক্ষী টের পাওয়ার আগে, দিল্লি তিহার জেলে সংসদ ভবন হামলার অন্যতম চক্রী আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার পর থেকেই কাশ্মীরে নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে কাশ্মীর উপত্যাকায়।