দেশজুড়ে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন
"ভারত লজ্জিত। ভারত বিক্ষুব্ধ"। বুধবার সকাল থেকে এই স্লোগানেই ফেটে পড়ছে রাজধানী। চলন্ত বাসে নৃশংস গণধর্ষণ ঘিরে দিল্লি থেকে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ধর্ষিতা। তাঁর জন্য প্রার্থনার পাশপাশি দোষীদের বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে তোলপাড় গোটা দেশ।
"ভারত লজ্জিত। ভারত বিক্ষুব্ধ"। বুধবার সকাল থেকে এই স্লোগানেই ফেটে পড়ছে রাজধানী। চলন্ত বাসে নৃশংস গণধর্ষণ ঘিরে দিল্লি থেকে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ধর্ষিতা। তাঁর জন্য প্রার্থনার পাশপাশি দোষীদের বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে তোলপাড় গোটা দেশ।
বুধবার দিল্লি পুলিসের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান রাজনীতিবিদ, সক্রিয় সমাজকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ছাত্ররা। তাদের শান্ত করতে জলকামান চালায় পুলিস। শীলা দীক্ষিত সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তারপর থেকেই বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছে ছাত্ররা। তাদের দাবি দিল্লির নিরাপত্তা বাড়াতে সরকার কী করছে তাই মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দিল্লির ব্যস্ত রাস্তা আইটিও মোড়ের কাছে রাস্তা আটকেও প্রতিবাদ করেন সাধারণ মানুষ। তাদেরও একই দাবি, দিল্লিকে মহিলাদের জন্য নিরাপদ করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক সরকার।
শুধু রাস্তায় বিক্ষোভ নয়। এদিন সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে সফদরজঙ হাসপাতালের বাইরেও। ওই হাসপাতালেই ভেন্টিলেশনে রয়েছেন ধর্ষিতা। রবিবার রাতে অস্ত্রপচারের পর মঙ্গলবার সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু বিকেল হতেই ফের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁর যন্ত্রণা কমাতে আপাতত কড়া ঘুমের ওষুধের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় তবে কিছুটা হলেও আশার আলোর সম্ভাবনা দেখছেন চিকিত্সকরা।
রাজধানীর মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে একযোগে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদরাও। ঘটনার প্রতিবাদে আজ সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদরা। দিল্লিবাসীর জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। একইসঙ্গে, দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ দাবি করেছেন, দোষীদের দ্রুত বিচার করে প্রাণদণ্ড দেওয়া হোক।