Agnipath Scheme Protest: অগ্নিপথ প্রকল্প বিরোধী বিক্ষোভকারীরা পুলিসের ছাড়পত্র পাবেন না, হুঁশিয়ারি বায়ুসেনা প্রধানের
অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার ৪ দিন পর বিক্ষোভের চাপে পড়ে এক এক কদম করে নিয়োগের নীতি শিথিল করছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করার পরই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সেনায় চাকরি প্রার্থীরা। পরিস্থিতি বুঝে নিয়ম নীতি শিথিলও করছে সরকার। এর পাশাপাশি ওই প্রকল্প নিয়ে মুখ খুলেছেন বায়ুসেনা প্রধানও।
শনিবার বায়ুসেনা প্রধান ভি আর চৌধুরি বলেন, 'হিংসা আর অগ্নিসংযোগ করা কোনও সমাধান নয়। যদি ওই প্রকল্পটি নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ থাকে তাহলে সে নিকটবর্তী সেনা ঘাঁটি, বায়ুসেনা স্টেশন, ও নৌসেনা ঘাঁটিতে যোগাযোগ করলে তাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেতে পারে।' এর পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমে তিনি আরও বলেন, এই ধরনের হিংসা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এই চাকরিতে নিয়োগের শেষপর্যায় হল পুলিসের ছাড়পত্র। যদি কেউ এই বিক্ষোভে জড়িত থাকেন তাহলে তিনি শেষপর্যন্ত পুলিসের ছাড়পত্র পাবেন না। চার বছর যারা চাকরি করবেন তারা শুধু দেশেরই সেবা করবেন না। বরং তারা ফিরে যাবেন এক শৃঙ্খলাবদ্ধ মানুষ হিসেবে।
এদিকে, অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার ৪ দিন পর বিক্ষোভের চাপে পড়ে এক এক কদম করে নিয়োগের নীতি শিথিল করছে সরকার। প্রথমেই সরকার নিয়োগের বয়স ২ বছর বাড়িয়েছিল। পরে বলা হয় অবসরের পর অগ্নিবীরদের অসম রাইফেলস, সিএপিএফ নিয়োগ করা হবে। আজ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্পে সেনায় যোগ দেওয়া তরুণ 'অগ্নিবীর'দের (Agniveers) জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়োগে ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষণ করা হবে। শীঘ্রই নিয়োগ বিধি তৈরি হবে। এছাড়া তাঁদের আরও ৬টি মন্ত্রকে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। অসামরিক বিমান পরিবহন, অসামরিক প্রতিরক্ষা, উপকূলরক্ষী বাহিনী-সহ ১৬টি প্রতিরক্ষা সংস্থায় নিয়োগ করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বাদে অন্যত্র ১০ থেকে ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। প্রবল বিক্ষোভের মুখে শনিবার তিন সেনার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই বৈঠকেই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।