অগস্তাওয়েস্টল্যান্ড-কাণ্ডে মধ্যস্ততাকারী ক্রিস্টান মাইকেলকে প্রত্যার্পণের নির্দেশ
১২টি বিলাসবহুল হেলিকপ্টার কেনার বিষয়ে ২০০৭ সালে চুক্তি করেছিল ভারত সরকার। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের জন্য এই হেলিকপ্টারগুলি কেনা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু, এই চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ ও তুমুল বিতর্কের মধ্যে ২০১৪ সালে তা বাতিল করে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অগস্তাওয়েস্টল্যান্ড চপার দুর্নীতিতে মধ্যস্ততাকারী ক্রিস্টান মাইকেলকে প্রত্যার্পণের নির্দেশ দিল দুবাইয়ের আদালত। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে গ্রেফতার হয় মাইকেল। ভিভিআইপি চপার চুক্তিতে ঘুষ দেওয়া নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য এই মুহূর্তে ভারতের চোখে অপরাধী এই ক্রিস্টান মাইকেল।
১২টি বিলাসবহুল হেলিকপ্টার কেনার বিষয়ে ২০০৭ সালে চুক্তি করেছিল ভারত সরকার। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের জন্য এই হেলিকপ্টারগুলি কেনা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু, এই চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ ও তুমুল বিতর্কের মধ্যে ২০১৪ সালে তা বাতিল করে সরকার। হেলিকপ্টার সরবরাহকারী অগস্তাওয়েস্টল্যান্ড-এর ধারক সংস্থা ফিনমেক্কানিকা এই চুক্তির জন্য ইতালির এক সংস্থাকে ঘুষ দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর সেই ঘুষের সঙ্গে তত্কালীন ভারত সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের যোগসাজশের কথাও শোনা যায়। এই ঘটনায় ২০১৬ সালে গ্রেফতার হন ভারতের প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে এবং তাঁর কাছের মানুষদের সুবিধা করে দিতেই ত্যাগি ৬০০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম হেলিকপ্টারের বদলে ৪৫০০ মিটার উড়ার ক্ষমতা সম্পন্ন চপার কেনায় অনুমতি দেয়। উল্লেখ্য, অতীত এবং বর্তমান মিলিয়ে এসপি ত্যাগিই দেশের প্রথম গ্রেফতার হওয়া সেনা বাহিনীর কোনও প্রধান। আরও পড়ুন- ইভ-টিজিংয়ের প্রতিবাদ করে একাদশ শ্রেণির ছাত্র খুন! গ্রেফতার নবম শ্রেণির ছাত্র
তত্কালীন কংগ্রেস সরকার জানায়, অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তারা এই চুক্তি বাতিল করেছে এবং সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-কে এই দুর্নীতির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির যাবতীয় সম্পত্তি রয়েছে সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। আরও পড়ুন- মুসলিমদের সঙ্গে নিয়ে চলাই আসল হিন্দুত্ব, বললেন মোহন ভাগবত
চলতি বছরের জুলাই মাসে মাইকেল বলে, সোনিয়া গান্ধীকে কালিমালিপ্ত করার বিনিময়ে তাকে ফৌজদারি মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার টোপ দেয় হয় ভারতের তদন্তকারী সংস্থা। তবে, এই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে সিবিআই জানায়, তারা দুবাইতে মাইকেলকে জিজ্ঞাসাবাদই করেনি। সিবিআই সূত্রে খবর, মাইকেলকে প্রত্যার্পণের লিখিত নির্দেশ এখনও তাদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। আরও পড়ুন- রাফাল নিয়ে ফের মনমোহন সিং সরকারকেই দুষলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী