NRS-এর ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মবিরতি AIIMS-এর চিকিত্সকদের

বুধবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ রেখে আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিত্সক। 

Updated By: Jun 13, 2019, 04:56 PM IST
NRS-এর ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মবিরতি AIIMS-এর চিকিত্সকদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার চিকিত্সকদের পাশে দাঁড়াল গোটা দেশ। কলকাতার NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিলেন দেশের বিভিন্ন অংশের চিকিত্সকরা।

আগামিকাল, শুক্রবার প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নয়াদিল্লির AIIMS এর চিকিত্সকরা। পুরোপুরি বন্ধ থাকবে AIIMS. এমনটাই জানানো হয়েছে AIIMS-এর চিকিত্সক সংগঠনের তরফে। একই সঙ্গে অন্য সংগঠনগুলিকেও এই কর্মবিরতিতে সামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহমর্মিতা আশা করেছিলাম, ওঁর কথায় মনে হল আমরাই দোষী”, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বললেন চিকিত্সকরা

একই সঙ্গে দেশজুড়েও আগামিকাল সরকারি হাসপাতালে প্রতীকী কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন AIIMS-এর ওই সংগঠন। ফলে আগামিকাল AIIMS-সহ গোটা দেশে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার রাতে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিত্সকদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এক জুনিয়র চিকিত্সক পরিবহ মুখোপাধ্যায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিত্সাধীন।

আরও পড়ুন: ‘এসমা’ জারির হুঁশিয়ারিতেও গলল না বরফ, গণ-ইস্তফার ডাক চিকিত্সকদের!

বুধবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ রেখে আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিত্সক। যার জেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলার চিকিত্সকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন দেশের চিকিত্সকরা। তাঁরা বৃহস্পতিবার হেলমেট পরে, মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে চিকিত্সা করেছেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা, খুলল এসএসকেএম-র ইমার্জেন্সি, বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

তাঁরা জানিয়েছেন, চিকিত্সকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। তাঁদের উপরও হামলা হতে পারে। তাই আগেভাগেই তাঁরা প্রতীকী প্রতিবাদ শুরু করলেন বলে AIIMS-এর চিকিত্সকদের দাবি।

এর আগেও চিকিত্সকদের কর্মবিরতির সাক্ষী থেকেছে বাংলার একাধিক হাসপাতাল। কিন্তু কখনও দেশের অন্য প্রান্তের চিকিত্সকদের এই আন্দোলনে সামিল হতে দেখা যায়নি। ফলে এবারের উদ্যোগকে একেবারে নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন।

.